ভবানীপুরে মমতার জয় নিয়ে তোপ শুধু বিজেপি নেতাকেই নয়, অধীরকেও বিঁধলেন দিলীপ
ভবানীপুরে মমতার জয় নিয়ে তোপ শুধু বিজেপি নেতাকেই নয়, অধীরকেও বিঁধলেন দিলীপ
ভবানীপুরের উপনির্বাচনে ভোটদান সম্পন্ন হয়েছে। এবার ভোটের ফল প্রকাশের অপেক্ষা। তার আগে নানা মহল থেকে নানা মত আসছে। এই আসন থেকে এবার তে জিতবেন, তা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন অনেকেই। কিন্তু দু'জনের ভবিয্যদ্বাণী শুনে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন দিলীপ ঘোষ। দলের এক নেতার পাশাপাশি কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীকেও দিলেন পরামর্শ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবেন ৫০ হাজার ভোটে!
বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দলের সমালোচনা করে বলেছেন, ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবেন অন্তত ৫০ হাজার ভোটে। জয়ের মতে বিধানসভার পর ভবানীপুর উপনির্বাচনের ভোটেও সেই একই ভুল করেছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অবাঙালি প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে প্রার্থী করা বিজেপির বড় ভুল।
জয়ের ভবিষ্যদ্বাণীতে অস্বস্তি বিজেপিতে, জল্পনা
জয় বলেন, আমি বিজেপি-প্রেমী। তবু আমি ভবিষ্যদ্বাণী করতে বাধ্য হচ্ছি যে, ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের মার্জিন ৫০ হাজারেরও বেশি হবে। যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জয়ের মার্জিন কমানো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তখন জয়ের এই মন্তব্য বিজেপিতে অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল আরও। জয়কে পাল্টা খোঁচাও খেতে হল এই মন্তব্যের জন্য।
অধীরও করলেন ভবানীপুরে নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী
আর ভবানীপুর নিয়ে প্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও একই কথা বলেছেন। অধীরের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও জিতেছেন ভবানীপুর থেকে, এবারও জিতবেন। কিন্তু আরও বেশি সংখ্যক মানুষ যদি ভোট দিতেন, তাহলে বার্তা যেত যে, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে জয়ী করেছেন। কিন্তু তা হয়নি। ৫০ শতাংশের সামান্য বেশি ভোট পড়েছে। অর্থাৎ প্রায় ৫০ শতাংশ কোনও মতই জানাননি।
দিলীপের পাল্টা জবাব জয় ও অধীরকে
এরপরই নিজের দলের নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে দিলীপ বলেন, যাঁরা নির্বাচনে কাজ না করে ঘরে বলে এসব কথা বলেন, তাঁদের কথার কোনো গুরুত্ব নেই। তাঁর মতে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে প্রার্থী করা হয়েছিল বলে ভবানীপুরে এত লড়াই হয়েছে। ওসব জয়-বিজয়ের কথায় বিজেপি চলে না।
মমতার হাতে কংগ্রেসকে তুলে দেওয়ার খোঁচা
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, অধীর চৌধুরী তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতানোর দায়িত্ব নিয়েছেন। পার্টিটাই ওনার হাতে দিয়ে দিন। তাহলেই তো জামেলা মিটে যায়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তো দুই ম্যাডামের এটা নিয়েই কথা হয়েছে। সেই মতো কংগ্রেস এখানে তৃণমূলকে ছেড়ে দিয়েছে, তাই অধীরবাবুরও কোনও কাজ নেই।
নির্বাচন কমিশনকেও একহাত নেন দিলীপ ঘোষ
ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতাতেই ভোট করাচ্ছে। শুধুমাত্র ভবানীপুরে উপনির্বাচন ঘোষণা, তারপর আমাদের নেতাদের প্রচার করতে না দেওয়ার পরও নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা তা প্রমাণ করছে বলে মত দিলীপ ঘোষের। দিলীপের অভিযোগ, তাঁদের বিরুদ্ধে হামলা হয়েছে নির্বাচন কমিশন কোনও উদ্যোগ নেয়নি। আবার ফল্স ভোটার ধরা পড়েছে, তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই তো অবস্থা!