তৃণমূলের বন্ধ পার্টি অফিস খোলাকে কেন্দ্র সংঘর্ষ মিনাখাঁয়, গুরুতর জখম ৪
তৃণমূলের বন্ধ পার্টি অফিস খোলাকে কেন্দ্র সংঘর্ষ মিনাখাঁয়, গুরুতর জখম ৪
আমফান ক্ষতিপূরণের দাবিতে একমাস আগে তৃণমূলের পার্টি অফিসে তালা মেরে দিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। তারপর থেকেই বন্ধ সেই পার্টি অফিস। সোমবার সেই পার্টি অফিস খোলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব সঙ্গে বচসা বাধে গ্রামবাসীদের। পৌঁছায় সংঘর্ষেও। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে বসিরহাটের মিনাখাঁর মোহনপুর কালীবাড়ি এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, করণা আবহে মিনাখাঁ ব্লকে মোহনপুর অঞ্চলে ত্রাণ নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগ ছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা নেত্রীরা বেছে বেছে ত্রাণ দিচ্ছে, সে অভিযোগও উঠেছিল। ত্রাণ বিলি নিয়ে বৈষম্য করায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর ছড়ায় গ্রামবাসীরা। পার্টি অফিসে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়ে তালাক দিয়ে দেয় গ্রামের মানুষ। তারপর থেকেই দীর্ঘদিন বন্ধ পার্টি অফিস। পরে আম পানের সময় ও ব্যাপক ক্ষতি হয় এই মিনাখা ব্লকের। তখন ও ত্রাণ নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ ওঠে।
এদিন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা গ্রামবাসী পার্টি অফিস খুলতে গেলেই বাঁধে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বচসা। পরবর্তী পর্যায়ে হাতাহাতি থেকে তা সংঘর্ষে পরিণত হয়। গ্রামের মহিলারা এসে বাধা দেয় এবং তারা বলেন পার্টি অফিস খোলা যাবে না। এতেই গ্রামবাসী সঙ্গে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বরা ব্যাপক বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
এছাড়াও, ঘটনায় মহিলাদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। দু'পক্ষের হাতাহাতিতে আহত হয় বেশ কয়েকজন। কয়েক জনের মাথা ফাটে। এরপর লাঠি বাশ পার্টি অফিস ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। পরে হাড়োয়া থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় পুরুষ মহিলা মিলিয়ে ১২ জন গ্রামবাসী গুরুতর জখম হয়েছে তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা তার তদন্ত শুরু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ।
বাংলার শান্তি ফেরাতে মমতার বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক অর্জুন সিংয়ের