‘মা-মাটি নয়, রাজ্যে আসলে মানি-মাফিয়ার সরকার চালাচ্ছেন মমতা’, বেনজির আক্রমণে নিশীথ প্রামাণিক
‘মা-মাটি নয়, রাজ্যে আসলে মানি-মাফিয়ার সরকার চালাচ্ছেন মমতা’, বেনজির আক্রমণে নিশীথ
তৃণমূল কংগ্রেসের মা-মাটি-মানুষ স্লোগানকে ব্যঙ্গ করতে দেখা গেল কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক। এদিন উত্তর ২৪ পরগণার ব্যারাকপুরে মনীশ শুক্লর মৃত্যুতে তাঁর পরিবারকে সমাবেদনা জানাতে এসেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বেনজির আক্রমণ শানাতে দেখা যায় রাজ্য বিজেপির এই প্রথমসারির নেতাকে।
তৃণমূলকে বেনজির আক্রমণে নিশীথ প্রামানিক
এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়েই নিশীথকে বলতে শোনা যায়, " আসলে মা মাটি মানুষের সরকার বলে কিছু নেই। আসলে যেটা আছে তা মানি মানি মানি আর মাফিয়ার সরকার। তার সেই কারণেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।" যদিও এখানেই না থেমে তৃণমূলের পাশাপাশি সিপিআইএমকেও একহাত নিতে দেথা যায় নিশীথ প্রামানিককে।
তৃণমূলের পাশাপাশি সুর চড়ান বামেদের বিরুদ্ধেও
সিপিআইএম-তৃণমূলের বিরুদ্ধে একযোগে সুর চড়িয়ে নিশীথ বলেন, " শুধু আমি নই আমার মতো আরও অনেকেই বামফ্রণ্টের ৩৪ বছরের জগদ্দল পাথরকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরানোর জন্য মমতা বন্দোবাধ্যায় যে মা মাটি মানুষের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তা পূরণে সেই সময় আমরা তার সঙ্গে ছিলাম। কিন্তু পরবর্তী সময়ে যখন আমরা বুঝতে পারি মমতা বন্দোপাধ্যায় মানুষকে শুধু ভাওতা দিয়েছেন, মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করে গেছেন।"
মনীশ মৃত্যুর প্রতিবাদে ডাকা হয় বনধও
এদিকে
গত
রবিবার
রাতে
ব্যারাকপুরের
ভিড়ে
ঠাসা
বিটি
রোডের
উপর
গুলি
করে
খুন
করা
বিজেপির
নামকরা
মুখ
তথা
অর্জুন
সিংয়ের
ঘনিষ্ট
সহযোগী
মনীশ
শুক্লকে।
রবিবার
রাত
আটটা
নাগাদ
ঘটে
এই
ঘটনা।
মনীশকে
বাঁচাতে
গিয়ে
গুলিবিদ্ধ
হয়েছেন
তাঁর
সঙ্গী
গোবিন্দ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা
জানাচ্ছে
মোটরবাইকে
চড়ে
খুব
কাছ
থেকেই
মনীশ
ও
তাঁর
সঙ্গীকে
লক্ষ্য
করে
একের
পর
এক
গুলি
চালায়
দুষ্কৃতীরা।
এই
ঘটনার
পরেই
উত্তাল
হয়
রাজ্য
রাজনীতি।
বিজেপির
অভিযোগ
এই
হ্ত্যাকাণ্ডের
পিছনে
রয়েছে
তৃণমূলেরই
হাত।
এই
ঘটনার
প্রতিবাদে
বনধও
ডাকা
হয়
ব্যারাকপুরে।
নবান্ন অভিযানের পরেই মমতার সরকারের বিরুদ্ধে ফের সুর চড়াচ্ছে রাজ্য বিজেপি
এদিন মৃত মনীশ শুক্লর বাড়িতে এসেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান নিথীশ। অন্যদিকে বৃহঃষ্পতিবার বিপির নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা কলকাতা। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাওড়া ময়দানও। ধুন্ধুমার বাঁধে হেস্টিংস মোড়েও। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশও। পুলিশকে লক্ষ পাল্টা ইটবৃষ্টিও করেন বিজেপি সমর্থকেরা। তারপর পর থেকেই পুলিশি আক্রমণের বিরুদ্ধে রাজ্যব্যাপী ব্যাপক প্রচারে নেমেছে বিজেপিও। তারই মাঝে মমতার সরকারকে নিশীথ প্রামানিকের বেনজির আক্রামণ গোটা পরিস্থিতিতেই যে নতুন মাত্রা যোগ করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে সংক্রমণে রেকর্ড, সক্রিয়ের সংখ্যাও লাফিয়ে বাড়ছে