বাবাই তার প্রেরণা, মা এগিয়ে যাওয়ার পথে সাহস, ডাক্তার হতে চায় মাধ্যমিকে পঞ্চম অনীক
মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবনও তাদের ছাত্র অনীক জানার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত। অনীক এবার পঞ্চম হয়েছে মাধ্যমিকে। এই সাফল্যে সরণি বেয়ে ডাক্তার হতে চায় অনীক।
মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় পিছিয়ে নেই রামকৃষ্ণ মিশন। বরানগর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র সার্থক তালুকদার যেমন তাঁর স্কুলকে সাফল্য এনে দিয়েছে, একইভাবে মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবনও তাদের ছাত্র অনীক জানার সাফল্যে উচ্ছ্ব্সিত। অনীক এবার পঞ্চম হয়েছে মাধ্যমিকে। এই সাফল্যে সরণি বেয়ে ডাক্তার হতে চায় অনীক।
মা সাধারণ গৃহবধূ। বাবা যাদবকুমার জানা মেডিকেল কলেজের প্রফেসর। বাবার মতোই ডাক্তার হয়ে অনীক মানুষের সেবা করতে চায়। তার এই সাফল্যে খুশি গোটা পরিবার। মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবনের ছাত্র অনীকের ৬৮৫ নম্বর পেয়ে শুধু মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় স্থান করে নেয়নি, পরিবার-স্কুলকে গর্বিত করেছে। এমন সাফল্যের দিনে গোটা পরিবার আনন্দে আত্মহারা হিরের টুকরো ছেলেকে নিয়ে।
[আরও পড়ুন:মাধ্যমিকে সেরা কোচবিহারের সঞ্জীবনী, মেধাতালিকায় আর কে কোথায়, একনজরে দেখে নিন ]
অনীক এই বিশেষ দিনে তুলে ধরলেন তার সাফল্যের চাবিকাঠি কী ছিল। স্কুলের শিক্ষকদের যেমন বিশেষ কৃতিত্ব দিয়েছে অনীক, তেমনই মা-বাবার অনুপ্রেরণাকেও বড় করে দেখিয়েছে সে। অনীকের কথায়, বাবাকে দেখে শিখেছি। আর মা সেই শেখার পথ মসৃণ করে দিয়েছে। আমাকে এগিয়ে যাওয়ার সাহস জুগিয়েছে। তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই। সেইসঙ্গে আনীক জানিয়েছে, ইতিমধ্যে যে জয়েন্টের জন্য প্রিপারেশন নিতে শুরু করে দিয়েছে। মাধ্যমিকের পর কয়েকদিন অইবসর নিয়েই ফের ভবিষ্যেতর জন্য তৈরি সে।