বাঁধ ভাঙা নদীর তোড়ে ভেসে গেল ঘাটালের গ্রাম, দুর্গতদের উদ্ধারে বায়ুসেনা-কপ্টার
শিলাবতী নদীর বাঁধ ভেঙে শুক্রবার নতুন করে প্লাবিত হয় দু’টি গ্রাম। নদী তীরবর্তী ঘাটালের এই দু’টি গ্রামে আটকে পড়েন ৬৫ জন। প্রবল জলের তোড়ে নদীর এই দুই গ্রামে বিপজ্জনক পরিস্থিতির তৈরি হয়।
ঘাটালে বন্যাদুর্গত এলাকায় নামল বায়ুসেনা কপ্টার। নবান্নের ডাক পেয়েই ভারতীয় বায়ুসেনার কপ্টার ঘাটাল বন্যায় আটকে পড়া দুর্গতদের উদ্ধারকার্যে নামে। দুর্গতদের দ্রুত উদ্ধার করার লক্ষ্যে এক ঘণ্টার মধ্যেই বন্যাদুর্গত এলাকায় পৌঁছে যায় বায়ুসেনা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য শুরু করে দেয়।
শিলাবতী নদীর বাঁধ ভেঙে শুক্রবার নতুন করে প্লাবিত হয় দু'টি গ্রাম। নদী তীরবর্তী ঘাটালের এই দু'টি গ্রামে আটকে পড়েন ৬৫ জন। প্রবল জলের তোড়ে নদীর এই দুই গ্রামে বিপজ্জনক পরিস্থিতির তৈরি হয়। একেবারে নদীবাঁধের মুখে বাড়িগুলির একতলা সম্পূর্ণ জলের তলায় চলে যায়।
এই অংশে জলের স্রোত এতটাই শক্তিশালী যে, কোনও নৌকা ওই অংশ উদ্ধারকার্যে যেতে পারেনি। এমনকী এনডিআরএফের নৌকাও পৌঁছতে পারেনি দুর্গত এলাকায়। জলোচ্ছ্বাসের মুখে বাড়িগুলি ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এই অবস্থার মধ্যে ৬৫ জনকে উদ্ধারের জন্য জেলাশাসকের তরফ থেকে অতি শীঘ্র হেলিকপ্টার বন্দোবস্ত করার আর্জি জানানো হয় নবান্নকে। সেইমতো চটজলদি নবান্নের তরফে ফোন করা হয় ভারতীয় বায়ুসেনাকে। বায়ুসেনাও বিলম্ব না করে ঝাঁপিয়ে পড়ে উদ্ধারকার্যে। আকাশপথে আটকে বড়া বন্যা দুর্গতদের একে একে উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ নবান্নের তরফে বায়ুসেনার কাছে সাহায্যের আর্জি যেতেই সেনা তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বারাকপুর থেকে ভারয়ীয় বায়ুসেনার বিশেষ উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে রওনা দেয়। জেলা প্রশাসনকে নিয়ে বায়ুসেনা জলবন্দি ৬৫ জনকে উদ্ধার করতে নামে। এলাকায় প্রচুর গাছ থাকায় উদ্ধারকার্যে খানিক সমস্যা তৈরি হয়। তারই মধ্যে ঝুঁকি নিয়েই দুর্গতদের উদ্ধার করে আনে সেনা।