উপনির্বাচনে বিজেপির হারে নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ! বেসুরো একের পর এক প্রভাবশালী
উপনির্বাচনে বিজেপির হারে নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ! বেসুরো একের পর এক প্রভাবশালী
স্লোগান ছিল ইসবার ২০০ পার। তা তো হয়ইনি, তিন অঙ্কের অনেক আগেই থেমে যেতে হয়েছিল বিজেপিকে (bjp) । তারপর একের পর এক বিধায়কের দলবদল। এরপর জিতে যাওয়া দুই কেন্দ্রে হার। যার জেরে দলের নেতৃত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন দলের একাধিক নেতা।
বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ
দিন দুয়েক আগে ত্রিপুরায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলবদল নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খান। এবার খড়দহ, গোসাবার পাশাপাশি দলের দখলে থাকা বাকি দুই কেন্দ্র শান্তিপুর আর দিনহাটায় বিপুল ভোটে দলের হার নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, দলের ওপরের তলায় কারও সঙ্গে কারও মিল নেই। একজন অন্যজনকে মেনে নিতে পারছেন না। এর প্রভাব পড়ছে দলের নিচুতলায়। পাশাপাশি বাংলা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার চার সদস্যের দিকেও আঙুল তুলেছেন সৌমিত্র খান। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা রাস্তায় না নামায় কর্মীরা আশা দেখতে পাচ্ছেন না। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কল্যাণমূলক প্রকল্পও যে নির্বাচনের ফলে প্রভাব ফেলছে, তার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
বেসুরো জয় বন্দ্যোপাধ্যায়
হার নিয়ে বেসুরো হয়েছেন বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য তথা রাজ্য সহসভাপতি জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মাস খানেক আগে ভবানীপুরের ফল ঘোষণার আগে তিনি বলেছিলেন, বিজেপির ভুলের কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জিতবেন। এবারের হার নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া ডুবে যাওয়া সিপিএম যেখানে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে, সেখানে বিজেপি তলিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেছেন দল যতদিন না বিভেদের রাজনীতি ও প্রচার বন্ধ করতে, ততদিন কোনও উন্নতি হবে না। তিনি বলেছেন, বাংলার মানুষ বিভেদের প্রচার বোঝে না, মানুষ প্রগতি ও উন্নয়ন চায়।
তথাগত রায়ের তোপ
মঙ্গলবার ফল ঘোষণার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তোপ দেগেছিলেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়। টুইটে তিনি কটাক্ষ করে বলেছিলেন, দল দালালদের জন্য কোল পেতে দিয়েছিল। গলবস্ত্র হয়ে তাঁদের এনেছিল। যারা আদর্শের জন্য বিজেপি করত, তাঁদের বলা হয়েছিল, এতবছর ধরে তারা কী করেছেন। তারা ১৮ টা আসন এনেছেন। নেতৃত্বকে নিশানা করে তিনি বলেছিলেন বিজেপির শোচনীয় পরিস্থিতি এসবের জন্যই। মূলত তিনি কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ এবং দিলীপ ঘোষকেই নিশানা করেছিলেন।
বিজেপি নেতৃত্বের সাফাই
যদিও হার নিয়ে সাফাই দিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। তারা বলেছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেই দেওয়া হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে, যাতে বিরুদ্ধে কেউ লড়াই করতে না পারে। তবে দলের সংগঠনের পরিস্থিতি নিয়ে তারা একটা কথাও বলেনি। দলেরই অভ্যন্তরে বক্তব্য হল, উপনির্বাচনের প্রচারে বিজেপির স্ট্র্যাটেজি মানুষ গ্রহণ করেনি।