১৩ অগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে তিনটি পর্যায়ে জয়েন্টের কাউন্সেলিং, পড়ুয়াদের একগুচ্ছ পরামর্শ বোর্ডের
মাধ্যমিকের পর জয়েন্টেরও এবার ৯৯ শতাংশ পাশ। করোনা পরিস্থিতির কারনে এবার পিছিয়ে যায় জয়েন্টের পরীক্ষা। যদিও কড়া বিধি নিষেধ মেনে পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষা নেওয়ার ২০ দিনের মাথাতে ফলপ্রকাশ করা হল জয়েন্টের পরীক্ষার।
মাধ্যমিকের পর জয়েন্টেরও এবার ৯৯ শতাংশ পাশ। করোনা পরিস্থিতির কারনে এবার পিছিয়ে যায় জয়েন্টের পরীক্ষা। যদিও কড়া বিধি নিষেধ মেনে পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষা নেওয়ার ২০ দিনের মাথাতে ফলপ্রকাশ করা হল জয়েন্টের পরীক্ষার। ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে এবার তিন দফাতে কাউন্সেলিং করা হবে। তবে রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তা করা না হলে অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে পর্ষদের তরফে। একই সঙ্গে এদিন পর্ষদের তরফে একগুচ্ছ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক ক্ষেত্রে বেশ কিছু ভুল করে থাকে।
জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে যে এবার তিন ভাগে কাউন্সেলিং করা হবে। আগামী ১৩ অগস্ট থেকে এই কাউন্সেলিং শুরু হবে বলেও বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে। বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে যে, কাউন্সেলিংয়ে অংশ নেওয়ার আগে অবশ্যই ভালো ভাবে পর্ষদের তরফে দেওয়া বইটিকে আরও ভালো ভাবে পড়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পরিষ্কার ভাবে ধাপে ধাপে কাউন্সেলিংয়ের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
পর্ষদ মনে করছে, এই বইটিকে ভালো করে পড়ে নিলে আর কোনও সমস্যা হবে না। কোন কলেজে কোন বিভাগ পড়তে পারেন সে বিষয়ে তথ্য দেওয়া রয়েছে। পর্ষদের তরফে জানানো হিয়েছে যে, সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফলে কোন কলেজে পড়বেন সেই বিষয়ে বক্তব্য জানানোর কথা বলা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, পর্ষদের তরফে একটা হোমওয়ার্ক করার কথা বলা হয়েছে। কোন বিষয়ে কোন ইনস্টিটিউটে পড়বেন সেই বিষয়ে সাম্যক ধারণা ছাত্র-ছাত্রীরা পাবেন বলে জানানো হয়েছে পর্ষদের তরফে। যে তিন ভাগে কাউন্সেলিং হবে তার প্রথম ধাপ হল অ্যালটমেন্ট রাউন্ড।
পর্ষদ বলছে এই রাউন্ডে কোন কলেজে পড়বেন তা বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকছে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার কাছে। যত বেশি সম্ভব কলেজের নাম 'চয়েজ' হিসেবে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন জয়েন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান। দ্বিতীয় ধাপে থাকছে আপগ্রেডেশন রাউন্ড।
এই রাউন্ডে কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া চলবে। এই রাউন্ডে প্রথমে কলজে বেছে নিতে হবে। এরপর সেই কলেজে ভর্তির বিষয়ে সমস্ত কিছু জেনে শুরু হবে প্রক্রিয়া। শেষে রয়েছে তৃতীয় ধাপ। এই ধাপে বেশ কিছু সুযোগ থাকছে পড়ুয়াদের কাছে। প্রয়োজনে যদি কোনও প্রতিষ্ঠান বা পড়াশোনার বিষয় বদল করতে চাইছে কোনও পড়ুয়া, তাহলে তাঁকে সেই সুযোগ দেওয়া হবে।
অন্যদিকে এক বছর জয়েন্টে প্রথম হয়েছেন রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের পাঞ্জজন্য দে। দ্বিতীয় বাঁকুড়া জেলা স্কুলের সৌম্যজিত দত্ত। এবং তৃতীয় ব্রতীন মণ্ডল শান্তিপুর মিউনিসিপাল স্কুলের ছাত্র বলে জানিয়েছেন জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের সভাপতি।