বাবা করেন ফেরি! বাংলার সিভিল সার্ভিসে সাফল্য টালির ছাদের মিজানুরের
আর্থিক প্রতিকূলতা থাকলেও যে চ্যালেঞ্জকে জয় করা যায়, তা একবার দেখিয়ে দিল মিজানুর রহমান। টালির ছাদের নিচে থেকেও যে রাজ্যের প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সুযোগ পাওয়া যায়, তার প্রমাণ দিল সে।
ছোট বেলে থেকে ইচ্ছা কিছু করে দেখানোর। আর তার জন্য নিজের আর্থিক প্রতিকূলতাকে জয় করার চ্যালেঞ্জ ছিল মুর্শিদাবাদের মিজানুর রহমানের সামনে। সেই চ্যালেঞ্জ জয় করেছে সে। এক চিলতে মাটির বাড়ি, টালির ছাদ। সেই বাড়ি থেকেই সাফল্য এবার চাকরি জীবনে সফল। গ্রামের ছেলে সফল হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সার্ভিসে। মিজানুরের সাফল্যে গর্বিত নিজের গ্রাম ছাড়াও আশপাশের গ্রামও।
ডব্লুবিসিএস-এ গ্রুপ বি-তে র্যাঙ্ক ৬
মিজানুর রহমানের পরীক্ষার যে ফলাফল সামনে এসেছে, সেখান থেকে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অধীনে পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস (এক্সিকিউটিভ) 'গ্রুপ বি' সার্ভিস ক্যাটাগরিতে সে সফল হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, তাঁর র্যাঙ্কও ওপরের দিকে। ছয়নম্বরে রয়েছে তাঁর নাম।
বাবা পেশায় হকার
মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির ফুলশহরি গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান। বাবার পেশা হকারি। সেই বাড়ির ছেলে ডব্লুবিসিএস পরীক্ষায় গ্রুপ বি-তে পাশ করেছে। WBPS পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ফুলশহরি গ্রামের দিন-দরিদ্র পরিবারের ছাত্র মিজানুর। ফলাফলের খবর গ্রামে আসতেই নিজের গ্রাম ছাড়াও আশপাশের গ্রামের বহু মানুষ ভিড় জমিয়েছেন মিজানুরের বাড়িতে। সকাল গ্রামবাসীদের মধ্যে উন্মাদনা। একবার তাঁরা দেখতে চান মিজানুরকে। প্রত্যেকটি পাড়া থেকে মানুষজন মিজানুরকে সাধুবাদ জানাতে বাড়িতে উপস্থিত হয়েছে দলে দলে।
কষ্ট আর অধ্যাবসায়ে সাফল্য
পরিবারে
পাঁচ
ভাই
বোন,
বাবা
ফেরি
করে
সংসার
চালান।
যে
কারণে
দিনের
পর
দিন
কষ্ট
করে
মিজানুরকে
তাঁর
শিক্ষা
চালিয়ে
যেতে
হয়েছে।
সবাই
তাঁর
অধ্যবশায়ের
প্রশংসা
করেছেন।
ছোট
থেকেই
মিজানুর
মেধাবী
ছাত্র।
যে
কারণে
কোনও
প্রতিকূলতা
তাঁকে
হার
মানাতে
পারেনি।
তার
এই
সাফল্যের
প্রশংসা
করেছেন
সবাই।
ফুলশহরি
গ্রামে
মিজানুরই
প্রথম
WBPS-এ
সুযোগ
পেয়েছেন,
জানিয়েছেন
স্থানীয়
বাসিন্দারা।
মিজানুর
রহমান
বলছে,
পশ্চিমবঙ্গ
পুলিশ
সার্ভিস
ক্যাটাগরিতে
তাঁর
র্যাঙ্ক
৬।
তবে
ধৈর্য
ছিল,
সময়
লাগলেও,
আশা
ছিল
হবে।
সেখান
থেকেই
এই
সাফল্য।
আর
নিজের
বাবার
কথা
বলতে
গিয়ে
আবেহ
বিহ্বল
হয়ে
পড়ে
সে।
বাবা
ফেরি
করে
তাঁকে
বড়
করেছে।
পড়াশোনা আল আমিন মিশনে
মিজানুরের
বাবা
জানিয়েছেন,
আল
আমিন
মিশনে
ছোট
থেকেই
পড়াশোনা
করেছে।
কলেজের
পড়াশোনা
চালিয়েছে
খুব
কষ্ট
করে।
পরিবারে
কোনও
রকমে
চালিয়ে
পড়াশোনা
করানো
হয়েছে
মিজানুর-সহ
বাকি
ভাইবোনেদের।
সেই
কষ্ট
থেকে
আজ
সাফল্য
বলেছেন
মিজানুরের
বাবা।
নিজে
যে
এখনও
ফেরি
করেন,
তা
তাঁর
বলতে
দ্বিধা
নেই।
তবে
গ্রামের
বাসিন্দারা
জানিয়েছেন,
তাঁরা
আনন্দিত।
কেননা
মুর্শিদাবাদ
জেলার
গৌরব,
গরিব
ঘরের
ছেলে
মিজানুর
রহমান
বড়
সাফল্য
পেয়েছে।