দলীয় অফিসে মহিলাদের নিয়ে অসামাজিক কাজকর্ম! দলের শহর-সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিস্ফোরক তৃণমূল কাউন্সিলর
তৃণমূল (Trinamool Congress) ক্ষমতা গত প্রায় ১১ বছর। প্রশাসনের ওপরে নিরঙ্কুশ আধিপত্য। তবে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রামপুরহাটের মতো না হলেও, খড়গপুরে (kharagpur) কম কিছু নয়, তা প্রকাশ্যে চলে এল। সেখানকার ৭ নম্বর ওয়ার্ড
তৃণমূল (Trinamool Congress) ক্ষমতা গত প্রায় ১১ বছর। প্রশাসনের ওপরে নিরঙ্কুশ আধিপত্য। তবে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রামপুরহাটের মতো না হলেও, খড়গপুরে (kharagpur) কম কিছু নয়, তা প্রকাশ্যে চলে এল। সেখানকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (councillor) দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই দলীয় অফিসে বসে অসামাজিক কাজ কর্মের অভিযোগ এনেছেন। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
দলীয় অফিসে অসামাজিক কাজের অভিযোগ
খড়গপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লী। সেখানে থাকা তৃণমূলের পার্টি অফিসের দখলদারি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের অভিযোগ, সেই পার্টি অফিসে সবরকমের অসামাজিক কাজকর্ম চলে। তাঁর আরও অভিযোগ, মহিলাদের নিয়ে আড্ডা থেকে মদ-জুয়ার আসর কিছুই বাদ যায় না। দেড় বছর আগে এই অফিস খোলা হলেও, তা নামেই দলীয় অফিস বলেও সংবাদ মাধ্যমের সামনে মন্তব্য করেছেন ওই নেতা। পাড়ার লোকজনও বিষয়টি নিয়ে অতিষ্ঠ বলে দাবি করেছেন কল্যাণী ঘোষ।
শহর তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ
বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করার কল্যাণী ঘোষ নামে তৃণমূলের কাউন্সিলকে শহর তৃণমূলের সভাপতি হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। যা নিয়ে এলাকা যথেষ্টই উত্তপ্ত। কল্যাণী ঘোষের প্রশ্ন এইভাবে হুমকি চালানো হলে, কীভাবে সংগঠন চালাবেন তিনি?
বিবাদ শুরু এবার জেতার পর থেকে
কল্যাণী ঘোষের পরিচিতি প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা হিসেবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের অংশীদার হতে ২০১৭ সালে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। এবার তাঁকে প্রার্থী করলে তিনি ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়লাক্ষ করেন। এর পর থেকে বিবাদ শুরু বলে অভিযোগ করেছে কল্যাণী ঘোষ। তিনি বলেছেন পার্টি অফিস নিয়ে এলাকার মানুষ তাঁর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁকে সেখানে বসার জন্য অনুরোধ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কাউন্সিলরের দাবি অনুযায়ী, স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, ওই অফিসটি কাউন্সিলরের অফিস হলেই সেখানে অসামাজিক কাজকর্ম বন্ধ হবে। তিনি সেখানে তৃণমূল কার্যালয় বলে ব্যানার লাগালেও, তা রাতের অন্ধকারে ছিঁড়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ মিথ্যা, দাবি অন্য অংশের
দলের কাউন্সিলর যে অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি শহর তৃণমূলের সভাপতি দীপেন্দু পালের। তাঁর আরও অভিযোগ, কাউন্সিলর সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করতেও মিথ্যা অভিযোগ করছেন। তিনি পাল্টা বলেছেন, কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসেছেন ওই নেতা। সেই কারণে উনি যখন কংগ্রেসে ছিলেন, সেই সময় থেকেই তৃণমূলের যুবরা ওই কার্যালয়টি চালায় বলে দাবি শহর তৃণমূল সভাপতির। তৃণমূল কাউন্সিলরের অভিযোগের বাস্তবে কোন ভিত্তি নেই বলে দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি ওই নেতা কতটা তৃণমূলের তা নিয়েই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের প্রশ্ন রয়েছে বলেও দাবি তাঁর। কেননা কল্যাণী ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যানার নামিয়ে রেখেছেন বলে অভিযোগ।
রাজধানীতে তীব্র তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস! কমলা সতর্কতা জারি আবহাওয়া দফতরের