দিঘাগামী বাসের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, গুরুতর আহত ১৫
দিঘাগামী বাসের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, গুরুতর আহত ১৫
মেদিনীপুরঃ জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বুধবার ভোরে দিঘাগামী একটি বাসের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ। ঘটনায় গুরুতর আহত ১৫ জন যাত্রী। যাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দিঘা নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কের চন্ডিপুরের গুড়্গ্রাম এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে চন্ডিপুর থানার পুলিশ। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কুয়াশার কারনেই দুর্ঘটনা, প্রাথমিক অনুমান
তবে এদিন ভোরে একেবারে কুয়াশায় ঢাকা ছিল জাতীয় সড়ক। দৃশ্যমানতাও অনেকটাই কমে গিয়েছিল। অন্য দিক থেকে আসা গাড়ি দেখতে না পাওয়ার কারনেই এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। তবে অন্য কোনও কারন রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গাড়িগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাগজপত্র ঠিক ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে সকালের এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে দিঘা-নন্দকুমার জাতীয় সড়ক। প্রায় কয়েক ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
স্থানীয় সূত্রে কি জানা যাচ্ছে?
স্থানীয় মানুষজন জানাচ্ছেন, একেবারে কুয়াশাতে চারপাশ কিছু দেখা যাচ্ছিল না। হঠাৎ বিকট শব্দ। আর শব্দে রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় মানুষজন। শব্দের সূত্র খুঁজতে গিয়ে স্থানীয় মানুষজন দেখেন, একটি যাত্রীবাহী বাস দিঘার অভিমুখে যাওয়ার সময় অপর দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রক্তাত্ব অবস্থায় আর্তনাদ যাত্রীদের। আর এই অবস্থা দেখার পরেই স্থানীয় মানুষজন ছুটে এসে আহতদের বাসের ভিতর থেকে উদ্ধার করে। স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। জানা যায়, ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ১৫ জন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজন বলে খবর। যদিও এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
পাথর বোঝাই ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু ১৪ জনের।
গত কয়েকদিন আগেই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৪ জনের। ধূপগুড়ি জলঢাকা ব্রিজের কাছে পাথরবোঝাই লড়ির সঙ্গে টাটা ম্যাজিক ও মারুতি ভ্যানের ধাক্কা। ঘটনাস্থলে পাথর বোঝাই ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ১৪ জনের। ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালেও ভর্তি করা হয় বেশ কয়েকজনকে। তবে ১৪ জন মৃতদের মধ্যে ছিল ৪ জন শিশু। জানা যায়, বৌভাত থেকে ফেরার পথে বোল্ডার বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে টাটা ম্যাজিক এবং মারুতি ভ্যানের। উলটে যায় পাথরবোঝাই লড়িটি। বোল্ডার এসে পড়ে ছোট গাড়িগুলির উপর। পাথর চাপা পড়েই কার্যত মৃত্যু ১৪ জনের।
জাতীয় সড়কে নিরাপত্তা
জাতীয় সড়কের নিরাপত্তা নিয়ে গত মাসখানেক আগেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্ঘটনা কমাতে চেয়ে রাজ্য পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন। সেই মতো জাতীয় সড়কে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়। পর্যাপ্ত লাইট এবং হোটেলের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এরপরেও জাতীয় সড়কের উপর একের পর এক দুর্ঘটনায় বাড়ছে উদ্বেগ।
বামের বিরুদ্ধে জমবে লড়াই! নির্বাচনের আগে 'শক্তি' যাচাই করতে 'জেনারেল' নিয়োগ বিজেপির