নারদকাণ্ডে এবার জেরা তৃণমূলের এই সাংসদকে, সিবিআইকে কী জানালেন তিনি
ইতিমধ্যে দশ জন তৃণমূল নেতাকে তলব করা হয়েছে, তার মধ্যে আটজন নেতা-নেত্রীকে জেরা করে ফেলেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
নারদকাণ্ডে সিবিআইয়ের জেরায় টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেন তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি সাফ জানিয়ে দেন, নির্বাচনের জন্যই ওই টাকা নেওয়া হয়েছিল। এদিন সিবিআইয়ের জেরার পরে প্রসূন বলেন, 'সিবিআই ডাকলে একটা চাপ তো তৈরি হয়ই। সেজন্যই দেরি না করে সিবিআই আধিকারিকদের মুখোমুখি হলাম, তাঁদের স্পষ্ট জানিয়ে দিলাম ওই টাকা কোন খাতে খরচ হয়েছে।'
মঙ্গলবার নারদকাণ্ডে জেরার মুখোমুখি হতে তৃণমূল সাংসদ তথা প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দেন বেলা ১১টা নাগাদ। তারপরই সিবিআই আধিকারিকরা তাঁকে নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিও দেখিয়ে দফায় দফায় জেরা শুরু করেন।
এর আগে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-সাংসদকে তলব করা হয় নারদকাণ্ডে। সিবিআইয়ের মখোমুখি হন অনেকেই। ক্রমশই সেই তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। আগে ইকবাল আহমেদ, সুলতান আহমেদকে তলব করা হয়। তাঁদের সিবিআই জেরার পরই একে একে তিন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তলব করে সিবিআই। কাকলি ঘোষ দস্তিদারকেও জেরা করে সিবিআই।
এবার সেই তালিকায় যোগ হল 'অর্জুন' প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। তৃণমূলের অন্য মন্ত্রীরা একাধিকবার তলব করার পর সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন। প্রসূন কিন্তু একবার তলব করার পরই সিবিআই আধিকারিকদের মুখোমুখি হলেন।
এদিন নারদকাণ্ডে একেবারে প্রশ্ন সাজিয়ে জেরা করা হয় প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি নারদ কর্তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন কি না? কত টাকা নিয়েছিলেন, সেই টাকা কোন কাজে খরচ করেছিলেন? জানতে চাওয়া হয় তৃণমূল সাংসদের কাছ থেকে।
উল্লেখ্য, নারদকাণ্ডে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই ও ইডি একের পর এক তৃণমূল নেতাকে জেরায় জেরবার করে দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে দশ জন তৃণমূল নেতাকে তলব করা হয়েছে, তার মধ্যে আটজন নেতা-নেত্রীকে জেরা করে ফেলেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তলব করা হলেও তিনি হাজিরা দেননি। তবে ইডি দফতরে তিনি হাজিরা দিয়েছিলেন। হাজিরা দেননি সৌগত রায়ও। দু-জন তৃণমূল নেতাকে তলব করা বাকি। মুকুল রায় ও মদন মিত্রকেও পুজোর মধ্যে তলব করা হতে পারে।