তৃণমূলে অস্বস্তি বাড়ানো নেতাদের ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু! তথাগতের টুইটে জোরদার জল্পনা
তৃণমূলে অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন কয়েকজন নেতা। একরে পর এক অভিযোগে তাঁদের নিয়ে বিব্রত রাজ্যের শাসক দল। এই অবস্থায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের একটি বক্তব্য নিয়ে বিজেপি নেতা তথাগত রায় পরিহাস করতে শুরু করেছেন।
তৃণমূলে অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন কয়েকজন নেতা। একরে পর এক অভিযোগে তাঁদের নিয়ে বিব্রত রাজ্যের শাসক দল। এই অবস্থায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের একটি বক্তব্য নিয়ে বিজেপি নেতা তথাগত রায় পরিহাস করতে শুরু করেছেন। তৃণমূল দুর্নীতিতে জড়িত নেতাদের ঝেড়ে ফেলতে চাইছে বলে কটাক্ষ করেছেন তথাগত রায়।
তথাগত রায় সম্প্রতি টুইট করে যে বার্তা দিয়েছেন, তাতে অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের। তিনি টুইটা তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেছেন, তৃণমূলে যেসব নেতারা অস্বস্তি তৈরি করছে, তাদের ঝেড়ে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। তথাগত রায়ের এই টুইটের পর রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়েছে। তিনি তৃণমূলের দুর্বল জায়গায় আঘাত করেছেন তাঁর টুইটের মাধ্যমে।
তথাগত রায় টুইটে লিখেছেন- "প্রথমে অনুব্রত বড় নেতা। তারপর পার্থবাবু বলতে পারবেন। কুণাল নেহাতই ফড়ে। যথাস্থান থেকে হুকুম না এলে একটা কথা বলতে পারবে না। যেসব নেতারা অস্বস্তি ঘটাচ্ছে, তাদের ঝেড়ে ফেলার প্রক্রিয়া কি শুরু হল? অভিযোগের আঙুল কি ধীরে ধীরে উপরে উঠেছে।"
তাঁর এই টুইটের পর রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। যেভাবে তৃণমূল জমানায় শিক্ষক নিয়োগে একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এবং শিক্ষক নিয়োগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট, স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীরা হাতে অস্ত্র পেয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে আবার তৃণমূল নিজেই অস্ত্র তুলে দিয়েছে বিরোধীদের হাতেই। তা নিয়েই পরিহাসের ছবি ধরা পড়েছে তথাগত রায়ের টুইটে।
সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, দুর্নীতি বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর আমলে হয়নি। তাহলে দুর্নীতি হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আমলে। ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তৃণমূল মুখপাত্র কি তবে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যয়াকে কাঠগড়ায় তুললেন?
সম্প্রতি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এই জমানায় ৯৯ শতাংশ কাজ ঠিকঠাক হয়। যে ধরনের কেলেঙ্কারিক অভিযোগ আসছে, তার একটিও ব্রাত্য বসুর জমানায় নয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কুণাল ঘোষের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসা প্রথমবার নয়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে নিয়ে ভুয়ো খবর পোস্ট করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তখন কুণাল ঘোষ নাম না করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন।
এখন আবার তিনিই বলছেন শিক্ষাক্ষেত্রে যে অভিযোগগুলি এসেছে, তা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সময়কালে নয়। তৃণমূলের কথায়, ব্রাত্য বসুর সময় কালেও নয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সময়কালেও নয়, সেই দ্বন্দ্বই হাতিয়ার করছে বিজেপি-সহ বিরোধীরা আর এই দ্বন্দ্বকে হাতিয়ার করে টুইট করলেন তথাগত রায়।