স্কুল চলাকালীন ডুবে মৃত্যু বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর! অভিযোগ দায়ের
স্কুল শেষে দুপুরে প্রতিদিনের মতো বাড়ি ফেরার কথা ছিল বেহালার দক্ষিণ পাড়ার ৪ বছরের শিশু সম্বুদ্ধ ঘোষের।
স্কুল শেষে দুপুরে প্রতিদিনের মতো বাড়ি ফেরার কথা ছিল বেহালার দক্ষিণ পাড়ার ৪ বছরের শিশু সম্বুদ্ধ ঘোষের। ফিরল সন্ধেয় কিন্তু তার নিথর দেহ। জানা গিয়েছে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ওই শিশু পড়ল আলিপুর কমান্ড হাসপাতাল চত্বরে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের একটি স্কুলে। সেখানেই বুধবার দুপুরে হাইড্রোথেরাপি নামে বিশেষ একধরনের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত জলাধারে ডুবে যায়।
আলিপুর কমান্ড হাসপাতাল চত্বরে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের একটি স্কুল রয়েছে। যেটির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন সেনা অফিসারদের স্ত্রীদের একটি সংগঠন। সেই স্কুলে সেনাকর্মীদের পাশাপাশি বাইরের বেশ কিছু বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু পড়াশোনা করে। সেরকমই পড়াশোনা করত বেহালার শুভজিৎ ঘোষ এবং সুচেতনা ঘোষের একমাত্র সন্তান সম্বুদ্ধ ঘোষ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতবছর সে ওই স্কুলে ভর্তি হয়েছিল কথা বলায় কিছু অসুবিধা থাকায়।
শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন স্কুলের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থাকায় বেলা এগারোটা নাগাদ সম্বুদ্ধকে নিজের গাড়িতেই স্কুলে নিয়ে গিয়েছিলেন বাবা। স্কুল থেকে প্রতিযোগিতার স্থান মোমিনপুর অর্ডিন্যান্স ডিপোর মাঠেও নিয়ে যান তিনিই। সেখানে সম্বুদ্ধ দৌড়ে দ্বিতীয় হয়। এরপর নিজের গাড়িতে বসিয়েই ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে অফিস রওনা হয়ে যান শুভজিৎ ঘোষ। স্কুলের বাসে সম্বুদ্ধের বাড়িতে ফেরার কথা ছিল।
কিছু দূর যাওয়ার পর স্কুল থেকে ফোন পান শুভজিৎ ঘোষ। তাঁকে দ্রুত স্কুলে যেতে বলা হয়। জানানো হয় তাঁর ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে অবশ্য হাইড্রোথেরাপি নামে বিশেষ একধরনের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত জলাধারে সম্বুদ্ধের দেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটি সবার চোখ এড়িয়ে কিভাবে বিশেষ জায়গায় পৌঁছে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেনা কর্তৃপক্ষের তরফে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।