রেড রোড কাণ্ডে শানুর পর গ্রেফতার জনিও!
কলকাতা, ১৯ জানুয়ারি : শানুর পর রেড রোড কাণ্ডে গ্রেফতার সাম্বিয়া সোহরাবের বন্ধু জনিও। গতকাল রাতেই গ্রেফতার হয়েছে জনি। কলকাতার একবালপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। জনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের গুণ্ডাদমন শাখা। আজই শানুর সঙ্গে জনিকেও ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পেশ করা হবে। সাম্বিয়া ইতিমধ্যে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। শানু ও জনিকেও আজ আদালতে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ। হেফাজত পেলে সবার আগে তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে।
ইতিমধ্যে রেড কোড হিট অ্যান্ড রান মামলায় মূল অভিযুক্ত সাম্বিয়া সোহরাব ও তাঁর দুই বন্ধু শানু ও জনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও যদিও সাম্বিয়ার বাবা মহম্মদ সোহরাব এবং আম্বিয়া সোহরাবের খোঁজ পায়নি পুলিশ। [রেড রোড কাণ্ড : নয়াদিল্লিতে গ্রেফতার সাম্বিয়ার বন্ধু শানু]
রেড রোডে ১৩ জানুয়ারি ঠিক কী ঘটেছিল তা নিয়ে এখনও বহু বিভ্রান্তি রয়েছে। সাম্বিয়াকে ইতিমধ্যে জেরা করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর জেরায় বারবার বিভিন্ন রকম কথা বলছেন সাম্বিয়া। জেরায় সাম্বিয়া জানিয়েছে, ঘাতক অডি গাড়িতে তার সঙ্গে তার দুই বন্ধু শানু ও জনিও ছিল। তাদের উষ্কানিতেই জোরে গাড়ি চালিয়েছে সে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক শানু ও জনির পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, সাম্বিয়া সেদিন গাড়ি চালাচ্ছিল সে বয়ান বদলানোর জন্য হুকমি ফোন আসছে। তাদের চাপ দেওয়া হচ্ছে যাতে বয়ান বদলে সেদিন শানু গাড়ি চালাচ্ছিল বলা হয়। [রেড রোড হিট অ্যান্ড রান ঘটনায় ৪ দিন পর অবশেষে গ্রেফতার সাম্বিয়া সোহরাব]
কিন্তু পলাতক শানু ও জনিকে খুঁজতে পুলিশের সবরকমেত মদত করে তাদের পরিবার। শানুর গ্রেফতারির দিন তার দাদা খালেদ পুলিশের একটি টিমের সঙ্গে দিল্লি গিয়েছিলেন। সোমবারও জনির তল্লাশিতে তাঁর পরিবারের দেওয়া তথ্য জনির গ্রেফতারিতে উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করেছে।
রেড রোড কাণ্ডে শানুর পরে জনির গ্রেফতারিতে অপরাধীদের মূল বৃত্তটা সম্পূর্ণ হলে বলে মনে করা যেতেই পারে। সাম্বিয়া, শানু ও জনিকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলে এই কাণ্ডে ধোঁয়াশা অনেকটা কাটতে পারে বলেই মনে করছে পুলিশ। [রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের মহড়ার সময়ে নম্বর প্লেটহীন গাড়ির ধাক্কায় সেনা অফিসারের মৃত্যু]
এদিকে আজ শানুকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হবে দুপুর ২ নাগাদ। আজ পুলিশ শানুকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে।