উদ্যোগই সার, ডেঙ্গু প্রাণ কাড়ল কলকাতা পুরসভার কর্মীরই
উদ্বেগই সার। ডেঙ্গু দমনে একের পর এক ব্যর্থতার সম্মুখীন কলকাতা পুরসভায। এত সচেতনতা, ডেঙ্গু দমনে বাড়তি উদ্যোগ নেওয়া সত্ত্বেও দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যু মিছিলও।
উদ্বেগই সার। ডেঙ্গু দমনে একের পর এক ব্যর্থতার সম্মুখীন কলকাতা পুরসভায। এত সচেতনতা, ডেঙ্গু দমনে বাড়তি উদ্যোগ নেওয়া সত্ত্বেও দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যু মিছিলও। এবার ডেঙ্গুর প্রকোপে মৃত্যু হল কলকাতা পুরসভার কর্মীরই।
কলকাতা পুরসভার সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে কলকাতা পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট বিভাগের কর্মী শান্তনু মজুমদার। পুজো থেকেই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন শান্তনুর পরিবারের অন্য সদস্য। ডাক্তার ডেঙ্গু আক্রান্ত বলেই সনাক্ত করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। বৃহস্পতিবারই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
কলকাতায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাওয়ার পরে নড়েচড়ে বসে পুর প্রশাসন। উদ্বিগ্ন পুরকর্তাদের একাংশের মতে, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী শহরের কয়েকটি বরোর এগজিকিউটিভ হেল্থ অফিসারদের গাফিলতি। সজাগ নন কয়েক জন কাউন্সিলরও। বৃহস্পতিবার পুর ভবনে বর্তমান ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে একটি বৈঠকও হয়। সেখানে জানানো হয়েছে, গত সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা যা ছিল, অক্টোবরে তা প্রায় চার গুণ বেড়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে শহরের তিনটি বরো এলাকার ১২টি ওয়ার্ডের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত পুরসভা।
তবে কলকাতা কর্পোরেশনের সাফ কথা, তারা সারা বছর ধরে নিবিড় নজরদারি চালায় - যাতে কোথাও জল না জমে থাকে। এর জন্য বহু কর্মীও যেমন রয়েছেন, শহরের প্রতিটা হাসপাতাল, নার্সিং হোম বা পরীক্ষাগারে রোগীদের কী কী রক্ত পরীক্ষা হচ্ছে, কী ভাইরাস পাওয়া যাচ্ছে, তার প্রতিদিনের হিসাব রাখা হয়, যাতে ডেঙ্গু রোগীর খোঁজ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। তবে তার সত্বেও ডেঙ্গু দমনে ব্যর্থ হতে হচ্ছে।