দুর্গার পরিবারে ভাই তৃতীয়া, লক্ষী সরস্বতীর থেকে ফোঁটা নিলেন কার্তিক গনেশ
দুর্গার পরিবারে ভাই তৃতীয়া, লক্ষী সরস্বতীর থেকে ফোঁটা নিলেন কার্তিক গনেশ
"ভাই
এর
কপালে
দিলাম
ফোঁটা
যমের
দুয়ারে
পড়ল
কাঁটা".....
শিল্পশ্রী
যামিনী
পালের
নিজস্ব
ভাবনায়
পশ্চিম
বাংলায়
প্রথম
তৈরী
হয়
এক
অদ্ভুত
শিল্প।
যেখানে
কার্তিক
গনেশকে
,
ফোঁটা
নিতে
দেখা
যায়
লক্ষী
সরস্বতীর
থেকে।
এ
এক
অদ্ভুত
শিল্প।
ভাবনা
আপাত
দৃষ্টিতে
সাধারণ।
তবু
অসাধারণ।
সেটাও
ফুটিয়ে
তোলা
হয়
অনবদ্য
ভাবে।
এরপর
এই
ভাবনায়
ও
কাজে
অনুপ্রানিত
হয়ে
অনেক
শিল্পী
পরবর্তিতে
এরকম
প্রতিমা
নির্মান
করেন।
তিনি সবসময়েই সৃষ্টি করেছেন অনবদ্য দেবী মূর্তি। বিখ্যাত ব্যক্তির স্মরণে তৈরি মূর্তিও হয়ে উঠত জীবন্ত। তাঁর পুত্ররাও এখন তৈরি করেন দারুন সব দেবী মূর্তি। বহু আগের কথা। কলকাতার পোস্তা বাজারের সরস্বতী পুজো মানেই ছিলেন বিখ্যাত শিল্পী রমেশ পাল। কিন্তু একবছর ঘটে যায় ব্যতিক্রম, পুজো কমিটির এক বিশেষ সদস্যের অনুরোধকে প্রাধান্য দিয়ে সে বছরের ঠাকুরের বায়না দেওয়া হয় মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের এক শিল্পীকে। তারপরেই ঘটে যায় সেই আশ্চর্য ঘটনা। অসাধারণ শিল্পনৈপূণ্যের ছটায় আলোকিত হয় পোস্তার পুজো মন্ডপ।
বহু দর্শনার্থীদের পাশাপাশি প্রতিমা দর্শনে আসেন শিল্পী রমেশ পালও। আর প্রতিমা দর্শনে এসে একটা জায়গায় খটকা লাগে তাঁর, তিনি নিশ্চিতভাবে মনে করেছিলেন যে প্রতিমার কাপড় মাটির হতেই পারে না, এগুলি সিল্কেরই কাপড়। এরপর কমিটির লোকের কথা পরখ করার জন্য স্পর্শ করে দেখতে চান রমেশ বাবু। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্যিই যে সেটি মাটির কাপড়ই ছিল। বিখ্যাত শিল্পী রমেশ পালকে যে শিল্পী চমকে দিয়েছিলেন, তিনি আর কেউই নন মুর্শিদাবাদের গর্ব শিল্পশ্রী যামিনী পাল।
এবার এই মহান শিল্পীর জীবনের আলোচনা শুরু করা যাক প্রথম থেকে। ১৩২৮ বঙ্গাব্দের ২৩ শে মাঘ বাবা দেবেন্দ্রনাথ পাল ও মা রজবালা পালের ঘরে জন্ম নেন যামিনী পাল। আর্থিক সঙ্কট ও তার ফলে জীবিকা অন্বেষণের তাগিদে চতুর্থ শ্রেণিতেই তাঁর প্রথাগত শিক্ষার অবসান ঘটে ।
কিন্তু যে প্রতিভা সে জন্ম থেকেই প্রাপ্ত হয়েছিল তার সাক্ষী আজ বহু মানুষ। শৈশব থেকেই মাটির কাজ ও আঁকার প্রতি তাঁর ঝোঁক ছিল। মাত্র ১৪বছর বয়সে তিনি শিক্ষাগুরু বিভূতিভূষণ মল্লিকের কাছে শিক্ষার পাঠ নেন | এর পর জল রঙের কাজ নিয়ে তিন বছর কঠোর অনুশীলনের পর হঠাৎ শিক্ষক হিসেবে কৃষ্ণনাথ কলেজের চারুকলার শিক্ষক বজেন্দ্রনাথ পাল মহাশয়ের সহযোগিতায় এগিয়ে চলেন তৈলচিত্রের পথে। কিছুদিন চলার পর আবার মাটির কাজের দিকেই আগ্রহ জেগে ওঠে যামিনী পালের। নতুন আস্তানার অন্বেষণ করতে করতে এক আত্মীয় মারফত পৌঁছে যান মৃৎশিল্পের আঁতুড়ঘর কৃষ্ণনগরে। যামিনী পালের শিল্পচর্চার ইতিহাস মূলত কৃষ্ণনগরকেন্দ্রিক। প্রথমে তিনি কৃষ্ণনগরের বৈদ্যনাথ পাল ও পরে সুধীর পালের কাছে মৃৎশিল্পের রীতিনীতি রপ্ত করেন। এর পর ২২বছর বয়সে পুনরায় ফিরে আসেন জন্মভিটে বহরমপুরে
শুধু
মাটির
মূর্তি
নয়,
শিল্পশ্রী
যামিনী
পালের
অন্যতম
গৌরবময়
বিষয়
হল
তার
অসাধারণ
মর্মরমূর্তির
নির্মাণ।
তিনি
হয়তো
উপলব্ধি
করেছিলেন
মাটির
মূর্তি
তো
স্বল্পস্থায়ী,
এমন
কিছু
করতে
হবে
যাতে
তাঁর
শিল্প
দীর্ঘস্থায়ী
হতে
পারে
।
এরপর
সিমেন্ট,প্লাস্টার-প্যারিস,পাথরের
মূর্তি
তৈরীর
কাছে
মনোনিবেশ
করলেন
।
বিখ্যাত
ভাস্কর
নিতাই
চন্দ্র
পালের
সান্নিধ্যে
এসে
তাঁর
স্বপ্নসফল
হয়।
মৃৎশিল্পের
কাজ
করার
মধ্যে
দিয়ে
তিনি
ভাস্কর্যের
জগতে
উপনিত
হন
|
এরপর
বিভিন্ন
সংগঠনের
দ্বারা
অনুপ্রাণিত
হয়ে
তিনি
নানা
মনীষীর
মূর্তিনির্মাণের
কাজে
আত্মনিয়োগ
করেন।
যামিনী
পালের
প্রথম
স্ট্যাচু
তৈরির
ভাবনা
আসে
একটি
কালীমূর্তি
দেখে।
অযোধ্যায় যামিনী পালের তৈরি রাম-সীতার মূর্তি তাঁর শৈল্পিক নৈপুণ্যতার ঐতিহ্য আজও বহন করে চলেছে । দেশের বাইরের রয়েছে তাঁর বহু অমরকীর্তি । তার মধ্যে রয়েছে জাপানে যিশুর মূর্তি,চিনে বুদ্ধমূর্তি,আমেরিকায় কাঁচে বাঁধানো দুর্গাপ্রতিমা ও সুইজারল্যান্ডে মা লক্ষ্মী প্রতিমা। তিনি শিল্পীজীবনে পেয়েছিলেন বহু পুরস্কার ও সম্মান। প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ১৯৪৬ সালে প্রথম পুরস্কৃত হন। ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের নানা ক্লে-মডেলের কাজও করেছিলেন তিনি।
নিরাপত্তা দিতে ব্যার্থ কেন্দ্র, নিজের বাসস্থানে সুরক্ষা নিয়ে আদালতে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী