কলকাতা ও বিধাননগর পুলিশের উদ্যেগে চারটি পৃথক গ্রিন করিডর শহরে
কলকাতা ও বিধাননগর পুলিশের উদ্যেগে চারটি পৃথক গ্রিন করিডর শহরে
নজির বিহীন ঘটনা শহরে। একই দিনে চারটি পৃথক গ্রিন করিডর তৈরি করল পুলিস। কলকাতা ও বিধাননগর পুলিশের উদ্যেগে সম্ভব হল এই ঘটনা। ১০ মিনিট, ১৪ মিনিট, ১৫ মিনিটে নির্ধারিত স্থানে পৌঁছল অঙ্গ এবং রোগী।
প্রথম করিডর
অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর জখম অবস্থায় বছর চল্লিশের অমিতা দাগা ভর্তি হয়েছিলেন ডিসান হাসপাতালে। তাঁর অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাঁকে মুম্বাইয়ের ন্যাশনাল বার্নস সেন্টারে ট্রান্সফার করা হয়। মঙ্গলবার গ্রিন করিডরের মাধ্যমে তাঁকে ডিসান হাসপাতাল থেকে কলকাতা এয়ারপোর্টে পৌঁছে দেওয়া হয় ১০ মিনিটে। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ ও বিধাননগর সিটি পুলিশের সমন্বয়ে অমিতা দাগাকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স দুপুর ১২.০৮ নাগাদ ডিসান হাসপাতালে থেকে রওনা দিয়ে ১২.১৮ নাগাদ উল্টোডাঙা নিউ ফ্লাইওভারে পৌঁছায়। এই ১০ কিমি পথ অতিক্রম করতে সময় লাগে মাত্র ১০ মিনিট। সেখান থেকে কলকাতা এয়ারপোর্টে পৌঁছে দেয় বিধাননগর সিটি পুলিশ।
তিনটি করিডর
তিনটি পৃথক গ্রিন করিডরের মাধ্যমে মঙ্গলবার দুপুরে অপ্রতিম ঘোষের হৃৎপিণ্ড, লিভার ও একটি কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য পিয়ারলেস হাসপাতাল থেকে পৌঁছে গিয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে। এদিন তাঁর অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য বের করে নেওয়া হয় তাঁর হৃৎপিণ্ড, লিভার ও কিডনি। দ্রুততার সঙ্গে অঙ্গগুলি পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই ৭ কিমি পথে তৈরি করা হয় গ্রিন করিডর। ১৪ মিনিটে কিডনি এবং ১৫ মিনিটে যথাক্রমে হৃৎপিণ্ড ও লিভার পৌঁছে দেওয়া হয়।
এসএসকেএমে অঙ্গ প্রতিস্থাপন
গত ৩ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে কলকাতা সন্তোষপুরের বাসিন্দা ৪২ বছর বয়সী অপ্রতিম ঘোষ ভর্তি হয়েছিলেন কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালে। হাসপাতালের তরফ থেকে তাঁকে ‘ব্রেন ডেড' ঘোষণা করা হলে তাঁর পরিবার অঙ্গদানে সম্মতি দেন। অপ্রতিম বাবুর হৃৎপিণ্ড, একটি কিডনি ও লিভার প্রতিস্থাপন করা হবে গণেশ চন্দ্র কুইলা, তারক ডোম ও স্বরূপ কুমার পালের শরীরে।