বাগুইআটিতে দুই ছাত্রের হত্যায় 'বাহাত্তুরে' সৌগতর আলটপকা মন্তব্য! পরিবারের প্রশ্নে ব্যাকফুটে তৃণমূল সাংসদ
বাগুইআটিতে দুই ছাত্রের হত্যায় 'বাহাত্তুরে' সৌগতর আলটপকা মন্তব্য! পরিবারের প্রশ্নে ব্যাকফুটে তৃণমূল সাংসদ
বাগুইআটিতে খুন হওয়া ছাত্রদের একজন ড্রাগের নেশা করত। এমনটাই দাবি করেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy)। এই তথ্য তিনি পুলিশের কাছ থেকে পেয়েছেন বলেও জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। যদিও সৌগত রায়ের মন্তব্যে তীব্র প্রক্রিক্রিয়া জানিয়েছেন মৃত অন্যতম ছাত্র অতনু দের বাবা বিশ্বনাথ দে। সৌগত রায়ের ওই মন্তব্যে বাহাত্তুরে সৌগত রায়ের রাজনীতি ছাড়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাম-বিজেপি নেতারা।
সৌগত রায়ের বিতর্কিত মন্তব্য
বরাহনগর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাগুইআটির জোড়া খুন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন সৌগত রায়। তিনি বলেন, পুলিশের কাছ থেকে তিনি জানতে পেরেছেন খুন হয়ে যাওয়া অতনু দে মাদকের নেশা করত। এছাড়াও বাইক কেনার জন্য দুই পড়ুয়া কোথা থেকে ৫০ হাজার টাকা পেয়েছে, তা নিয়েও বিষ্ময় প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সৌগত রায় বলেছিলেন, ছেলেরা ভুল পথে যাচ্ছে। ছেলেদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে চাইছেন তাঁরা।
দুই পরিবারের প্রতিক্রিয়া
সৌগত রায়ের মন্তব্য তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মৃত ছাত্র অতনু দের বাবা বিশ্বনাথ দে। তিনি দাবি করেছেন, ছেলে নেশা করত, সেই কথা পুলিশ তাঁদেরকে এখনও বলেনি। তিনি আরও বলেছেন, উনি দুই ছেলেকে (অতনু এবং অভিষেকের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে) নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। নেশা করার অভিযোগও করেছেন। তা উনি (সৌগত রায়) কার কাছ থেকে এইসব শুনলেন? বিশ্বনাথ দে বলেছেন, এর আগে বাড়িতে ঘুরে গিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, অদিতি মুন্সিরা। সেই সময়েও তো এইসব কথা ওঠেনি।
কী করে এই কথা বলতে পারলেন
বিশ্বনাথ
দে
ক্ষোভ
প্রকাশ
করে
বলেছএন,
পরিবার
রাজনীতির
সঙ্গে
যুক্ত
নয়।
আর
তাঁরা
তা
থাকতেও
চান
না।
তাঁরা
শুধু
বিচার
চান
বলে
জানিয়েছেন।
সঙ্গে
তিনি
বলেছেন,
সৌগত
রায়
প্রবীণ
মানুষ।
তিনি
জনপ্রতিনিধি
হিসেবে
কীভাবে
আলটপকা
মন্তব্য
করে
দিতে
পারলেন।
বিশ্বনাথ
দে
বলেছেন,
বাড়ি
থেকে
ছেলেদের
বড়
অঙ্কের
হাত
খরচ
দেওয়া
হয়নি
কোনও
সময়।
তবে
৫০
হাজার
টাকার
বিষয়টি
ছেলের
বন্ধুদের
থেকে
জেনেছেন।
তিনি
বলেছেন
অর্থের
অভাবে
স্ত্রী
অসুস্থ
হয়ে
পড়ে
রয়েছেন
বাড়িতে।
চিকিৎসকের
কাছে
নিয়ে
যেতে
পারছেন
না।
তাঁদের
আত্মীয়ও
(মৃত
অভিষেকের
বাবা)
অসুস্থ।
দুজন
যখন
তাঁদের
একমাত্র
সন্তানকে
হারিয়েছেন,
সেই
সময়
কীভাবে
এই
মন্তব্য
করতে
পারলেন
সৌগত
রায়,
প্রশ্ন
করেছেন
তিনি।
অভিষেকের
বাবা
জানিয়েছেন,
ছেলের
ব্যাঙ্ক
অ্যাকাউন্টে
সামান্য
টাকা
রয়েছে।
তিনি
সংসার
চালান
ঘর
ভাঙা
দিয়ে।
ছেলে
কোথাও
বাইরে
গেলে,
তাঁর
কাছ
থেকে
টাকা
নিয়ে
যেত।
সেই
পরিস্থিতিতে
সাংসদ
মন্তব্য
তাঁদেরকে
আঘাত
করেছে
বলে
জানিয়েছেন।
সৌগত রায়কে কটাক্ষ বিরোধীদের
সৌগত
রায়ের
মন্তব্যকে
কটাক্ষ
করেছেন
রাজ্যের
বিরোধী
রাজনৈতিক
নেতারা।
তিনি
প্রশ্ন
করেছেন,
কীভাবে
ড্রাগ
নেওয়ার
কথা
জানলেন
সৌগত
রায়।
তিনি
কি
সরবরাহ
করতেন?
এই
কথাতেই
পরিষ্কার
তিনি
৭২
পার
করে
ফেলেছেন।
রাজনীতি
ছেড়ে
তাঁকে
রাঁচি
ঘুরে
আসার
পরামর্শ
দিয়েছেন
দিলীপ
ঘোষ।
অন্যদিকে
বাম
নেতা
সুজন
চক্রবর্তী
বলেছেন,
উনি
তো
অচেনা
লোকের
কাছ
থেকে
টাকা
নিয়ে
থ্যাঙ্ক
ইউ
বলেছিলেন।
তাহলে
তিনি
নিজের
সার্টিফিকেট
নিজেই
দেন
না
কেন?
'খুন হওয়া দুই কিশোর ড্রাগসের নেশা করত', বাগুইআটি জোড়া খুন নিয়ে বিস্ফোরক সৌগত রায়