কমছে সংক্রমণ, ১৩০ করোনা-বেড ফাঁকা বেলেঘাটায়
কমছে সংক্রমণ, ১৩০ করোনা-বেড ফাঁকা বেলেঘাটায়
লকডাউন যেন ভ্যাকসিনের মতোই কাজ করছে৷ গত একমাসে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিম্নমুখী। দেড়মাস আগেও কোনও কোভিড রোগীর বেলেঘাটা আইডিতে চিকিৎসার কথা ছিল কষ্ট কল্পনা। কারণ মাত্রাছাড়া সংক্রমণে বিপর্যস্ত ছিল রাজ্যের করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থা। বেলেঘাটা আইডি থেকে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে কোভিড রোগীর জন্য বেড ছিল অপ্রতুল। অক্সিজেন, ওষুধ, রেমডিসিভির, হাসপাতালে বেডের জন্য ছিল হাহকার। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ সহ সমস্ত রকমের সোশ্যালমিডিয়াতে সারাদিন শেয়ার হত বেড, অক্সিজেনের লিঙ্ক। লকডাউনের অন্তিম পর্বে কিছুটা হলেও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে জনজীবন।
কোথায় কত বেড ফাঁকা?
বেলেঘাটা আইডি- রাজ্যের অন্যতম সফল করোনা চিকিৎসাকেন্দ্রে রয়েছে মোট ৩১৫ টি কোভিড বেড৷ যারা মধ্যে ফাঁকা রয়েছে ১৩০টি বেড৷
শম্ভুনাথ পন্ডিত- মোট করোনা বেডের সংখ্যা ২০০টি৷ রোগী রয়েছে ১৩০টি বেডে৷
মেডিক্যাল কলেজ- মোট কোভিড বেড, ৪৩৩টি। ফাঁকা রয়েছে ১৩৭টি বেড৷
ন্যাশনাল
মেডিক্যাল
কলেজ-
করোনা
রোগীর
চিকিৎসার
জন্য
রয়েছে
২১৬টি
বেড৷
রোগী
নেই
রয়েছে
১৪৬টি
বেডে৷
এছাড়াও
রাজ্যের
তিনটি
বড়
কোভিড-সেফ
হোমে
মোট
কোভিড
বেডের
প্রায়
৭০
শতাংশ
খালি
রয়েছে৷
তাহলে কী করোনার জ্বালা মিটল?
৭ মে থেকেই দেশে নিম্নমুখী করোনার গ্রাফ। কমছে প্রতিদিনের সংক্রমণ ও মৃত্যুহার। এরকম অবস্থায় আস্তে আস্তে 'আনলকডাউন'-এর পথে হাঁটতে শুরু করেছে দেশ। কিন্তু এর মাঝেই দেশের মানুষকে সতর্ক করে নীতি আয়োগের সদস্য ডক্টর ভি কে পাল সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'আমরা যদি আবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে সে রকম আচরণ শুরু করি যা গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে করেছিলাম তাহলে ভয়ঙ্কর ভাবে ফিরবে করোনার তৃতীয় ঢেউ৷ সেকেন্ড ওয়েভের থেকেও মাত্রাছাড়া হবে সংক্রমণ। কিন্তু যদি আমরা আস্তে আস্তে আনলকডাউনের পথে হাঁটি৷ এবং তারপরও করোনাবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলি তাহলে নিম্নমুখীই থাকবে গ্রাফ। নিয়ম মেনে চললে হয়ত তৃতীয় ঢেউ হিসেবে করোনা ফিরতে পারবে না৷
ভারতে করোনা গ্রাফে ১৫ লক্ষের নিচে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা, ২ মাসে সর্বনিম্ন দৈনিক আক্রান্ত