কুণালকে শুভেচ্ছা বার্তা মমতার! পুজোয় মুকুল বিসর্জনের পর কী এই নয়া চমক
একদিন আগেই এই পুজোতে এসেই তৃণমূল থেকে অস্ত গিয়েছেন মুকুল রায়। তার বহু আগে থেকেই তৃণমূলে সাসপেন্ড কুণাল ঘোষ। কুণাল ঘোষের সেই পুজোতেই এল মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা।
যে পুজো উদ্বোধনের পরই মুকুল রায়ের সঙ্গে ২০ বছরের নাড়ির সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল তৃণমূলের, সেই কুণাল ঘোষের পুজোতেও এল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারদ শুভেচ্ছা। দলের সাসপেন্ডেড সাংসদ কুণাল ঘোষ আবার মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো শুভেচ্ছা-বার্তা ফেসবুকে পোস্ট করে ফলাও করে জানিয়ে দিলেন সেই কথা। লিখলেন- 'রামমোহন সম্মিলনীতে এল মুখ্যমন্ত্রীর শারদ শুভেচ্ছা। মঙ্গলবার বিকেলে।'
একদিন আগেই তৃণমূল থেকে অস্ত গিয়েছেন মুকুল রায়। তার বহু আগে থেকেই তৃণমূলে সাসপেন্ড কুণাল ঘোষ। সারদায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তাঁর সঙ্গে দলের সম্পর্ক একেবারেই তলানিতে। সেই কুণাল ঘোষের পুজোতেই কেন মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পত্র এল, তা নিয়ে ধন্দে অনেকেই। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি এক ভাইকে সরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার একদা অতি ঘনিষ্ঠ আর এক ভাই কুণাল ঘোষকে কাছে টানার চেষ্টা করছেন।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, কুণাল ঘোষের পুজো উদ্বোধনে গিয়েই মমতা তথা তৃণমূলের বিরাগভাজন হয়ে পড়েন মুকুল রায়। এবং এরপরই তাঁর তৃণমূল ছাড়ার পথ প্রশস্ত হয়ে যায়। মহাচতুর্থীর দিন এই পুজোর মঞ্চ থেকেই মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেস ও দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন।
তারপরের দিনই মুকুল রায় প্রথমে তৃণমূল ছাড়ার কথা বলেন। এবং অদ্যাবধি পরেই মুকুল রায়কে ছ-বছরের জন্য সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার এক দিন পরেই আবার সেই পুজোকেই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাহলে কি এই পুজো থেকেই মুকুল-বিদায়ের পথ প্রশস্ত হল বলেই মুখ্যমন্ত্রী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন কমিটিকে শুভেচ্ছপত্র পাঠিয়ে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ এই যুক্তিও দেখাচ্ছে। জোর জল্পনা শুরু হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর এই শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে। নিছকই রুটিন মাফিক শুভেচ্ছা, নাকি কোনও বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে, তা নিয়ে জল্পনা চলছে।