শোভনদা অনেকটাই অসুস্থ! প্রথম প্রতিক্রিয়ায় রত্না চট্টোপাধ্যায়কে আর কী বার্তা দিলেন বৈশাখী
শোভনদা অনেকটাই অসুস্থ। হাইপ্রেসার এবং সুগার রয়েছে তাঁর। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই জানিয়েছেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, মানসিক সম্মান ও সামাজিক সম্মান হারিয়েছেন। তবে এনিয়ে নিজের পরিবারের তরফে কোনও বাধা আসেনি বলেই জানিয়েছেন বৈশাখী।
গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন সময়ে ওয়েবকুপা এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে সরগরম থেকে সংবাদ মাধ্যম। এই প্রসঙ্গে বুধবার প্রতিক্রিয়া দেন মিলি আমিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক
মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন বৈশাখীর সঙ্গে তাঁর দেখা বা কথা হয়নি। এ প্রসঙ্গে বুধবার বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রত্না চট্টোপাধ্যায় কোনও কিছু অস্বীকার করলে কিংবা ভুলে গেলে তাঁর কিছুই করার নেই। তিনি বহুবার শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পর্ণশ্রীর বাড়িতে গিয়েছেন। বহুবার ফোনে এবং হোয়াটসঅ্যাপ কলে কথা হয়েছে। সেই সব পরীক্ষা করলেই দেখা যাবে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর (বৈশাখী) কোন পূর্ব পরিচিতি ছিল কিনা। তাঁরা দুজনে একসঙ্গে মুম্বই গিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী যেদিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী প্রয়াত হন সেই দিনও টলিক্লাবে দীর্ঘক্ষণ রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয় বলে দাবি করেছেন বৈশাখী।

শোভন উপকার মনে রাখেন
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কাউকে সাহায্য করে দাবি করাটা দৈন্যের পরিচয় দেওয়া। তিনি বলেছেন, কেউ যদি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে উপকার করেন, তা তিনি(শোভন) মনে রাখেন।

শোভনের সঙ্গে পরিচয়
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ২০১১ সালে। দুই সহকর্মী এবং নিজের স্বামীর সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

আইনি জটিলতায় পাশে
২০১৬ সালে নারদা নিয়ে আইনি জটিলতা দেখা দেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে তিনি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন কী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট দাদার সঙ্গে রাতের পর রাত জেগে আইনি কাগজপত্রও তৈরি করেছেন বলে জানিয়েছেন বৈশাখী। তিনি জানিয়েছেন, নিজে কনস্টিটিউশনের ছাত্রী। ফলে আইনি দিকগুলি অল্পবিস্তর জানেন। এবং অনেক আইনজীবীর উপদেশও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ভাল করে বুঝিয়ে বলেছেন।

শোভনের সঙ্গী হওয়া
ইডি কিংবা সিবিআই-এর কাছে যাওয়ার সময় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গী হওয়া কথাও জানিয়েছেন বৈশাখী। তিনি বলেছেন, নারদায় অভিযুক্ত নেতাদের মধ্যে একমাত্র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কেই ইডি থেকে তলব করা হয়েছিল। রত্না চট্টোপাধ্যায়ের লেনদেনের ফলেই শোভনবাবুকে অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেছেন বৈশাখী। রত্না চট্টোপাধ্যায়ের আয়কর সংক্রান্ত আইনি কাগজপত্র তৈরির সময়ও তিনি হাজির ছিলেন বলে দাবি করে বৈশাখী বলেছেন, সেই কাগজ তৈরি না থাকলে এতদিনে আয়কর সংক্রান্ত ঝামেলায় পড়তে হতো রত্না চট্টোপাধ্যায়কে।

ওয়েবকুপা নিয়ে অহেতুক জল্পনা
ওয়েবকুপার সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ির মতো অনেককেই সরানো হয়েছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে তাঁকে(বৈশাখী) কেন্দ্র করে অহেতুক জল্পনা তৈরি করা হচ্ছে।

পরিবার পাশে
পরিবারে বাধা বিপত্তির কথা উড়িয়ে তাঁর দাবি, যাবতীয় সব কাজে পরিবারের তরফে যথেষ্ট সাহায্য পেয়েছেন। মা, মেয়ে এবং নিজের স্বামীর কাছে তিনি কৃতজ্ঞ বলেও জানিয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।