জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ সহ ভারতের নবনির্মিত মানচিত্র দেখে কী প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানের
নবনির্মিত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ সহ শনিবার ভারতের একটি নতুন মানচিত্র প্রকাশ করছে কেন্দ্র সরকার। এরপরই বিরূপ প্রতিক্রিয়া মিলেছে ইসলামাবাদের তরফে। নতুন ম্যাপে জম্মু কাশ্মীরের ভারতভূক্তিকে 'আইনত ভুল এবং বিভ্রান্তিকর’ বলেও দাগিয়েছে পাকিস্তান।
সদ্য প্রকাশিত মানচিত্রে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরও জম্মু ও কাশ্মীরের সদ্য নির্মিত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অংশ। পাশাপাশি গিলগিট-বালতিস্তান যা বর্তমানে চীনের দখলে রয়েছে, তা দেখানো হয়েছে লাদাখের অধীনে। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক একটি বিবৃতি জারি করে ওই নবনির্মিত মানচিত্রকে বাতিল ঘোষণা করে বলেছে, ' এই ম্যাপের মাধ্যমে ভুল, আইনত অযোগ্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে। ভারতের এই অবস্থানের ফলে জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিলের প্রস্তাবও সম্পূর্ণ রূপে লঙ্ঘিত হচ্ছে। ’ পাশাপাশি ওই বিবৃতিতে তারা এও জানায়, 'জাতিসংঘের মানচিত্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না থাকার কারণে পাকিস্তান এই রাজনৈতিক মানচিত্র প্রত্যাখ্যান করছে।’
এদিকে চলতি বছরের আগস্ট মাসে সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫-ক ধারা বিলোপ করা হয় বর্তমান বিজেপি সরকারের তরফে। যবনিকা পরে স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতের ৭০ বছরের ইতিহাসে। বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারায় ভূস্বর্গ। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরকে দুটি পৃথক ভাগে ভেঙেও ফেলে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর তারপর থেকেই কাশ্মীর সমস্যাকে আন্তর্জাতিক ইস্যু হিসাবে তুলে ধরতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে পাকিস্তান। ইস্যুটি জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিলে স্থানান্তরিত হওয়ার পর কাশ্মীর সমস্যার আন্তর্জাতিকীকরণের চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। তাদের মতে ভারতের কোনও পদক্ষেপই জম্মু ও কাশ্মীরের 'বিতর্কিত' অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে না। এই সমস্যাটি বর্তমানে "জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রীনাধীন রয়েছে" বলেও স্পষ্ট জানায় ইসলামাবাদ।