লিভ–টুগেদার, মদ্যপানের অনুমতি, বৈধ আইনের ঘোষণা সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে
লিভ–টুগেদার, মদ্যপানের অনুমতি আরবে
বড়সড় বদল ঘটতে চলেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে ইসলামিক ব্যক্তিগত আইনে। জানা গিয়েছে, সংযুক্ত আরবের পক্ষ থেকে ঘোষণা করে বলা হয়েছে যে বিয়ের আগে যুগলরা লিভ–ইন, মদ্যপানের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে ও আত্মহত্যার প্রচেষ্টা শাস্তিযোগ্য হলেও আইনি সংস্কারের মাধ্যমে এগুলোকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে।
আর্থ–সামাজিক বদল ঘটানো
দেশের এক সংবাদ সংস্থা অনুযায়ী, এই সংস্কারের লক্ষ্য হল দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানকে বৃদ্ধি করা এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সহনশীলতার নীতিগুলিকে একত্রীকরণ করা। যদিও এই লক্ষ্যগুলির জন্য সরকার যে নির্দেশ দিয়েছে তা স্পষ্ট করে জানায়নি ওই সংবাদ সংস্থাটি।
অনার ক্রাইম শাস্তিযোগ্য অপরাধ থাকবে
ইসলামিক দেশটিতে বসবাসকারী বিদেশিরা নিজেদের জন্য উত্তরাধিকার আইন বেছে নেওয়ারও সুযোগ পাবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যের জন্য ক্ষতিকারক নয় এমন কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দিলেও ‘অনার ক্রাইম'কে শাস্তিযোগ্য হিসেবেই রাখবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। পরিবারের জন্য অসম্মান বয়ে আনার জন্য সংঘটিত অপরাধকেই মূলত দেশটিতে অনার ক্রাইম হিসেবে বর্ণনা করা হয়। এই ধরণের অপরাধ শাস্তিযোগ্য হিসেবেই থাকবে বলেও জানিয়েছে ওই সংবাদ সংস্থা। মুসলিম অধ্যুষিত দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে শনিবার এই ইসলামিক আইন সংস্কারের ঘোষণা করেছে। তবে কবে নাগাদ এসব সংস্কার বাস্তবায়ন হবে তা জানানো হয়নি
লিভ–ইন ও মদ খাওয়া বৈধ
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে এতদিন ধরে নিজস্ব ইসলামিক আইন প্রচলিত ছিল। তবে এই আইনে আনা হয়েছে অনেক বদল। এই নতুন আইনে বলা হয়েছে, ২১ বছর বা তার বেশি বয়সের নাগরিকরা এখন মদ কেনাবেচা ও পান করতে পারবেন। এছাড়াও অবিবাহিত নারী-পুরুষ বিয়ের আগে একসঙ্গে থাকতে পারবেন। কর্তৃপক্ষ বলছে, আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নতি ও সারা বিশ্ব থেকে অধিক বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টির অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরব–ইজরায়েল সম্পর্ক
এই পদক্ষেপটি সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং ইজরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য ঐতিহাসিক মার্কিন-ব্রোকার চুক্তি অনুসরণ করেছে, যা ইজরায়েলি পর্যটক এবং বিনিয়োগের আগমন ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও এ ধরনের আইন বদলানোর পেছনে আরও একটি কারণ হল দুবাই ওয়ার্ল্ড এক্সপোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। উচ্চ-পর্যায়ের এই ইভেন্ট দেশে বিপুল পরিমাণে বাণিজ্য কার্যকলাপ ও ২ কোটি ৫০ লক্ষ দর্শনার্থীকে এখানে টেনে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ইভেন্টটি অক্টোবরে হওয়ার কথা থাকলেও করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে তা পিছিয়ে যায়।
সমাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্যই সংযুক্ত আরব কর্তৃপক্ষ এ ধরনের পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। যাতে পরবর্তীতে সকলের সঙ্গে চলতে কোনও ধরনের সমস্যার সম্মুখিন না হয়।
কাটছে আতঙ্কের মেঘ! করোনা যুদ্ধে এই দুই টিকার অভূতপূর্ব সাফল্যে নতুন আশার আলো