ইন্দোনেশিয়ায় দেড় সপ্তাহের মধ্যে একই স্থানে দ্বিতীয়বার ভয়ানক কম্পন, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৬.৩
ইন্দোনেশিয়ায় একই স্থানে দ্বিতীয়বার ফের ভয়াবহ কম্পন। যার জেরে ছড়াল আতঙ্ক। লমবক নামে এই দ্বীপ ৫ অগাস্ট ভয়াবহ ভূমিকম্পের সাক্ষী হয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়ায় একই স্থানে দ্বিতীয়বার ফের ভয়াবহ কম্পন। যার জেরে ছড়াল আতঙ্ক। লমবক নামে এই দ্বীপ ৫ অগাস্ট ভয়াবহ ভূমিকম্পের সাক্ষী হয়েছিল। যাতে এখনও পর্যন্ত ৪৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা দ্বীপ। রবিবার লমবক দ্বীপে যে কম্পন অনুভূত হয়েছে রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৬.৩। এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর নেই। তবে কয়েক জনের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে চোট আছে বলে জানা গিয়েছে।
মার্কিন জিওলজিক্যাল সংস্থা ইউএসজিএস-এর মতে এবার লমবক দ্বীপে এই কম্পনের কেন্দ্র ছিল পূর্বাংশের সেমবালুনলাওয়াং-এর উত্তর-পূর্বের ভূ-স্পৃষ্ট থেকে ৭.৯ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের জেরে আতঙ্ক এতটাই চরমে ওঠে যে লোকজন দৌঁড়ে মাঠে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন।
জানা গিয়েছে যেখানে ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু তা হল লমবক দ্বীপের মাউন্ট রিনজানির উপত্যকা। এই ভূমিকম্পের পরে নাকি আরও একবার কম্পন অনুভূত হয়। কম্পনের তীব্রতা এদিন এতটাই তীব্র ছিল যে আশপাশের দ্বীপেও তা অনুভূত হয়। লমবক দ্বীপের দক্ষিণ তীব্রতা অনুভূত হয়। বালিতে এই ভূমিকম্পের জেরে আতঙ্ক ছড়ায়। পূর্ব লমবকের বাসিন্দা অগাস সেলিম জানিয়েছেন, আগের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু এদিন কম্পনের জন্য গাড়ির সামনে একটি ইলেক্ট্রিক পোল বারবার হেলে যাচ্ছিল বলে তাঁর দাবি।
ইন্দোনেশিয়া বরাবরই ভূমিকম্পন প্রবণ এলাকা। প্রশান্ত মহাসাগরের রিং অফ ফায়ার-এর উপরে অবস্থান এই দেশের। ২০০৪ সালের ইন্দোনেশিয়ায় ৯.৩- মাত্রায় ভূমিকম্পের জেরে ২২০,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।