যে পাঁচটি কারণে এদিন উচ্চ আদালত বেকসুর খালাস করল রাজেশ ও নুপূর তলওয়ারকে
মোট পাঁচটি কারণকে সামনে রেখে রাজেশ ও নুপূর তলওয়ারকে বেকসুর খালাস করেছে উচ্চ আদালত।
পেশায় দন্ত চিকিৎসক রাজেশ ও নুপূর তলওয়ারকে মেয়ে আরুষি হত্যা মামলায় বেকসুর খালাস করেছে এলাহাবাদ উচ্চ আদালত। ২০০৮ সালে আরুষি হত্যা হয়। তারপরে পাঁচ বছরের মাথায় তার বাবা রাজেশ ও মা নুপূরকে দোষী সাব্যস্ত করে গাজিয়াবাদের বিশেষ সিবিআই আদালত।
যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণার বিরুদ্ধে এলাহাবাদ উচ্চ আদালতে আপিল করেন রাজেশ ও নুপূর তলওয়ার। সেই আপিলের শুনানিতে উচ্চ আদালত তলওয়ার দম্পতিকে বেকসুর খালাস করা হয়। মূলত যে কারণে তাঁদের বেকসুর খালাস করা হয়েছে তার মোট পাঁচটি মুখ্য কারণ রয়েছে।
প্রথমত, আরুষি হত্যা মামলায় রাজেশ ও নুপূরের বিরুদ্ধে যে প্রমাণ মিলেছে তাতে তাদের অভিযুক্ত করা যায় না। দ্বিতীয়ত, কাউকে সন্দেহ করলেই তাঁকে সাজা দেওয়া যায় না। তৃতীয়ত, সিবিআই প্রমাণ করতে পারেনি যে তলওয়ার দম্পতি নিজের মেয়েকে মেরেছেন। চতুর্থত, তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে রাজেশ ও নুপূরকে 'বেনিফিট অব ডাউট' দেওয়াই যায়। পঞ্চমত, পারিপার্শ্বিক প্রমাণের ভিত্তিতে এই মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে যার ভিত্তিতে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না।
প্রসঙ্গত, বছর ১৪-র আরুষি তলওয়ারকে নয়ডার জলবায়ু বিহারের ফ্ল্যাটের বেডরুমে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটে ১৬ মে ২০০৮। প্রথমে ঘরের পরিচালক হেমরাজকে সন্দেহ করা হলেও পরের দিন ১৭ মে ফ্ল্যাটের ছাদে রক্তাক্ত হেমরাজের দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনাতেই তলওয়ার দম্পতিকে গ্রেফতার করে প্রথমে সাজা দেওয়া হয় ও এদিন বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে।