'একটা পর্নো সাইট ব্লক করলে আর একটা গজিয়ে উঠছে', সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র
গত বছর শিশু পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পর্নো ওয়েবসাইটগুলি ব্লক করার জন্য একটি জনস্বার্থ মামলা জমা পড়েছিল শীর্ষ আদালতে। সেই মামলারই জবাবে শীর্ষ আদালতকে এই ব্যাখ্যাই দিয়েছে সরকার।
শুক্রবারদিন আদালতে সরকার পক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে যে পর্নো সাইটগুলি চলছে, দেখা গিয়েছে তার সার্ভার রয়েছে বিদেশে। যার ফলে সরকারের পক্ষে তা নিয়ন্ত্রণ করা কার্যত অসম্ভব। কেন্দ্র জানিয়েছে, একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এই ধরণের সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য।
আদালত অবশ্যআগামী শুনানিতে ওই কমিটিক থেকে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। ভারতের মুখ্য বিচারপতি জানিয়েছেন, আইন, প্রযুক্তি ও প্রশাসনকে সমন্বিত উপায়ে ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফিক উপকরণকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট জনস্বার্থ মামলায় বলা হয়েছে, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা বাড়ার পিছনে পর্নোগ্রাফি অবশ্যই আগুনে হাওয়া দেওয়ার কাজ করছে। এই প্রসঙ্গে ২০১২ সালে দিল্লিতে নির্ভয়া গণধর্ষণকে উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। অভিযোগ, অপরাধীদের মধ্যে একজন এই ঘটনার আগে মোবাইল ফোনে পর্নো ভিডিও দেখছিল।
চলতি বছর জানুয়ারি মাসে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস (আইএসপিএস) শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছিল, আদালতের নির্দেশ ছাড়া তাদের পক্ষে পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট ব্লক করা বাস্তবিক ও কৌশলগতদিক থেকে কার্যত অসম্ভব। তাই সাইটের অশালীন ও আপত্তিজনক উপাদানের জন্য তারা বা কেন্দ্রীয় সরকার দায়বদ্ধ নয়।