রাজস্থানে 'রাজে ফ্যাক্টর' কি পাইলটের বিজেপি প্রবেশে বড় বাধা! সচিনকে নিয়ে বসুন্ধরার নীরবতা যেন রহস্য
রাজস্থানে 'রাজে ফ্যাক্টর' কি সচিনের বিজেপি প্রবেশের মাঝে বড় প্রাচীর! পাইলটকে নিয়ে বসুন্ধরার নীরবতা
রাজস্থান কংগ্রেস যখন ঘর বাঁচাতে ব্যস্ত, তখন কার্যত গ্যালারিতে বসে খেলা দেখছে বিজেপি! রাজস্থানের কংগ্রেসের ফাটল এবার আইনি কাঠগড়ায় পৌঁছেছে। আর সেখানেই পাখির চোখ রেখেছে বিরোধী গেরুয়া শিবির। কিন্তু গেরুয়া শিবিরেও অস্বস্তি রয়ে যাচ্ছে সচিন পাইলটের মতো তরুণ তুর্কী নেতাকে ঘিরে। এমন দাপুটে নেতা বিজেপিকে পরবর্তীকালে মাইলেজ দেবে বলে পার্টিং একাংশ বিচার করলেও, পার্টিতে 'রানিমা' বসুন্ধরা রাজের বক্তব্যই সচিনকে নিয়ে শেষ কথা বলবে। রাজস্থানে বিজেপির রাজনীতিতে গোয়ালিয়ার রাজবংশের কন্যার দাপট অনস্বীকার্য। আর সচিন ফ্যাক্টর নিয়ে যখন গোটা জাতীয় রাজনীতি তোলপাড়, তখন বসুন্ধরার নীরবতা খানিকটা রহস্যকে উস্কানি দিচ্ছে।
বিজেপিতে দ্বিধার জ্বলন!
কংগ্রেসের তরফে সচিনকে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা ও উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। যার স্পষ্ট ইঙ্গিত হাইকমান্ড অশোক গেহলট শিবিরকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এরপরও সচিন জানিয়েছেন তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন না। আর রাজস্থানের তরুণ তুর্কী নেতার এমন মন্তব্যই বিজেপির অন্দরে দ্বিধা দ্বন্দ্ব তৈরি করেছে।
রাজস্থানের রাজনীতি ও রাজে ফ্যাক্টর
গত কয়েকদিনে টুইটারে একাধিক বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন বসুন্ধরা রাজে। এমনকি মাস খানেক আগে ভাইপো জ্যোতিরাদিত্যর বিজেপিতে যোগদানকেও স্বাগত জানিয়ে তিনি টুইট করেন। কিন্তু সেই জ্যোতিরাদিত্যর প্রিয় বন্ধু সচিন পাইলটকে নিয়ে 'স্পিকটি নট' মেজাজে বসুন্ধরা। ঘনিষ্ঠমহলের খবর, রানিমা আপাতত 'ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ ' মোডে রয়েছেন।
বিজেপি নেতৃত্ব ও বসুন্ধরা
রাজস্থানে পার্টি নেতৃত্বর থেকে কি বসুন্ধরা দূরত্ব তৈরি করছেন? এমন প্রশ্ন বিজেপির অন্দরমহলের ইতিউতি ঘুরে বেড়াচ্ছে। কারণ জেপি নাড্ডার সাম্প্রতিক সভায় ছিলেন না বসুন্ধরা। এছাড়াও, অশোক গেহলট শিবির কে উচ্ছেদ নিয়ে খুব একটা 'রণং দেহি' মেজাজে গোয়ালিয়ারের রাজকন্যাকে দেখা যাচ্ছে না বলে দাবি ঘনিষ্ঠ মহলের। আর এই মেজাজ ঘিরেই জল্পনার পারদ চড়ছে।
গুজ্জর আন্দোলন ও বসুন্ধরার দূর্গ পতন
২০১৮
সালে
রাজস্থানে
রাজে-দূর্গ
পতন
হয়েছে
সচিন
ফ্যাক্টরের
জন্য।
বিশেষজ্ঞরা
বলেন,
একাট
বড়
অংশের
গুজ্জর
ভোট
বসুন্ধরার
বিরুদ্ধে
পড়েছিল
সেবার।
যা
সম্ভব
হয়েছিল
সচিব
পাইলটের
বসুন্ধরা
বিরোধী
আন্দোলনে।
রাজস্থানে
গুজ্জর
সম্প্রদায়ের
আন্দোলনের
অন্যতম
মুখ
সচিন
পাইলট।
যে
পাইলট
এককালে
ভোট
যুদ্ধ
জিততে
ও
রাজে-শাসন
উৎখাত
করতে
বসুন্ধরার
বিরুদ্ধে
কোমর
বেঁধে
নামে।
ও
সেইবার
বিধানসভা
ভোটে
বসুন্ধরা
শিবিরের
পরাজয়
হয়
।
এহেন
সচিনকে
পার্টির
মধ্যে
রেখে
তালে
তাল
মিলিয়ে
কাজ
করা
বসুন্ধরার
পক্ষে
কতটা
সম্ভব
হবে,
তা
নিয়ে
রয়েছে
জল্পনা।
দুষ্মন্ত -সচিন
সচিন পাইলট রাজস্থানের রাজনীতিতে তরুণ তু্র্কি নেতা হিসাবে বেশ জনপ্রিয়। রাজেশ পাইলটের ছেলে ও কাশ্মীরের ফারুক আবদুল্লাহর জামাই সচিন যুব রাজনীতিতেও বেশ প্রভাব ফেলেছেন। অন্যদিকে, বসুন্ধরা পুত্র দুষ্মন্ত সেভাবে রাজস্থানের বিজেপির যুব শিবিরে 'কাছের মানুষ' হয়ে উঠতে পারছেন না! আর এই দুইয়ের তুলনা বারবার বিজেপির রাজনীতিতে অই মুহূর্তে উস্কে দিচ্ছে। যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বসুন্ধরার নীরবতা।
মুখ্যমন্ত্রিত্বের মসনদ
রাজস্থানের রাজ মসনদে বহুদিন ধরেই রাজ করেছেন সিন্ধিয়া রাজকন্যা বসুন্ধরা। এককালের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা কতটা সচিনকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে দেখতে চান, তা নিয়েই বিজেপির মূল দ্বন্দ্ব। যদি ধরেও নেওয়া যায়, সরকার যদি বিজেপি গঠন করে, আর সেখানে যদি কংগ্রেস থেকে কোনএও বিদ্রোহী নেতা এসে মুখ্যমন্ত্রী চেয়ারে বসতে চান,তাহলে তা রাজের খুব একটা পছন্দ হবে না বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। তবে ,এই সমস্ত দ্বিধা দ্বন্দ্বের ওপর রয়েছে বিজেপির দিল্লি হাইকমান্ড। তারাও আপাতত মরুরাজ্যের দিকে নজর রাখছে।
বিহার নির্বাচনের মুখে জলে পড়ল ভোটের টোপ! উদ্বোধন হতেই ভাঙল নীতীশের ২৬০ কোটির ব্রিজ