মহারাষ্ট্রে শুরু ঠাকরে-রাজ! কুর্সিতে উদ্ধব, কংগ্রেস-এনসিপিও মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদে
কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে জোট করে মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সরকার গড়া চূড়ান্ত হতেই শুর হয়ে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কে বসছেন, তা নিয়ে জল্পনা।
কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে জোট করে মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সরকার গড়া চূড়ান্ত হতেই শুরু হয়ে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কে বসছেন, তা নিয়ে জল্পনা। শেষপর্যন্ত সব জল্পনার অবসান ঘটিযে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেই বসতে চলেছেন মহারাষ্ট্রের মসনদে। কংগ্রেস ও এনসিপিকেও মন্ত্রিসভায় সামিল করে স্থায়ী সরকার উপরহার দেওয়াই চ্যালেঞ্জ তাঁর।
কু্র্সিতে শিবসেনার কেউ এই প্রথমবার
এই প্রথমবার মহারাষ্ট্রের মসনদে বসতে চলেছে ঠাকরে বংশের কেউ। একইভাবে কু্র্সিতে শিবসেনার কেউ এই প্রথমবার বসছে। মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী পদে ঠাকরে বংশ থেকে বসবেন উদ্ধব৬-পুত্র আদিত্য এমন দাবি উঠলেও, শেষপর্যন্ত উদ্ধবকে স্বয়ং বসতে হচ্ছে মসনদে। তা হলে ছ-মাসের মধ্যে তাঁকে জিতে আসতে হবে কোনও আসন থেকে।
প্রথমবার ঠাকরে পরিবারের কেউ কুর্সিতে
এনসিপি ও কংগ্রেসের সমর্থন মেলায় মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সরকার গড়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা ছিল। আর এটাই প্রথমবার শিবসেনার কেউ মহারাষ্ট্রের কুর্সিতে বসতে চলেছেন। আর এই প্রথমবার ঠাকরে পরিবারের কেউই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন। শিবসেনা দাবি তুলেছিল আদিত্য হন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এনসিপির পছন্দ নয় আদিত্যকে। তাঁরা চান উদ্ধবকে।
উদ্বব হলে জিতে আসতে হবে
সেক্ষেত্রে উদ্ধব ঠাকরেকে ছ-মাসের মধ্যে কোনও কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে। শিবসেনা প্রধান যদি নিজে রাজি হন, দলের তরফে কেউই বাধা হবেন না। শিবসেনার বিধায়করা আদিত্যকে চাইছিলেন টাকরে পরিবারের সদস্য বলেই। সেক্ষেত্রে উদ্ধব হলে্ কারও কোনও আপত্তি থাকার কথা নয়।
এনসিপি ও কংগ্রেসের সমর্থনে সেনা
শিবসেনা এবার বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। পরোক্ষে এনসিপি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে ভোটে লড়ে। এই পরিস্থিতিতে এককভাবে কেউই সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়নি। বিজেপি-শিবসেনা যৌথভাবে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে পারলেও উভয়ের মধ্যে সমঝোতা ভেস্তে যায়। শিবসেনা এনসিপি ও কংগ্রেসের সমর্থন আদায় করে কুর্সি দখলের দিকে এগিয়ে যায়।
উদ্ধবের নাম প্রস্তাব পাওয়ারের
প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে শিবসেনা থেকে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন এনসিপির কেউ। আর কংগ্রেস পেতে পারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্পিকার পদ। শারদ পাওয়ার জানান, মুখ্যমন্ত্রী পদে এমন একজনকে চাই, যিনি বিজেপির কাছ থেকে দাবি-দাওয়া আদায় করে আনতে পারেন। সেই কাজে উদ্ধবই প্রথম পছন্দ। তাঁর নামই প্রস্তাব করেন শারদ পাওয়ার।