পাঁচরাজ্যে ভরাডুবি, কারণ খুঁজতে রবিবার বৈঠকে বসছে কংগ্রেস
পাঁচরাজ্যে ভরাডুবি, কারণ খুঁজতে রবিবার বৈঠকে বসছে কংগ্রেস
দাবি উঠছিল অনেক আগে থেকেই এবার দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্যকে মান্যতা দিয়ে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকল কংগ্রেস৷ দেশে লোকসভা বিধানসভা নির্বাচন মিলিয়ে শেষ ৪৫টি নির্বাচনে মাত্র ৫টি তে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। গান্ধী পরিবারের নেতৃত্বের বিরোধিতা করে এর আগেই কংগ্রেসে জি-২৩ গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল। সম্প্রতি সেই গোষ্ঠীর কাছে এবং কংগ্রেসের প্রবীন ও গুরুত্বপূর্ণ নেতা গুলাম নবি আজাদও মুখ খুলেছেন কংগ্রেসের আত্মসমীক্ষা ও পুনর্গঠন নিয়ে। গতকালই এ নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন গুলাম নবি আজাদ, আর ঠিক ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এবার পাঁচরাজ্যে ভোটে ভরাডুবির কারণ খুঁজতে বৈঠকে ডাকল কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের এই মুখ থুবড়ে পড়ায় দলের অন্যতম প্রবীন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'আমি হতবাক! রাজ্যের পর রাজ্যে আমাদের পরাজয় দেখে আমার হৃদয় রক্তক্ষরণ করছে। সিডব্লিউসি-র সদস্য গুলাম নবী আজাদ আরও বলেছেন। আমরা আমাদের পুরো তারুণ্য এবং জীবন পার্টিকে দিয়েছি। আমি নিশ্চিত যে পার্টির নেতৃত্ব সমস্ত দুর্বলতা এবং ত্রুটিগুলি বিবেচনা করবে যা আমার সহকর্মীরা এবং আমি বেশ কিছুদিন ধরে বলে আসছি।'
কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি (সিডব্লিউসি), কংগ্রেসের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা, রবিবার বিকেল ৪টায় দিল্লিতে দলের সদর দফতরে বৈঠক করতে চলেছে কংগ্রেস। সম্প্রতি নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পাঁচটি রাজ্যে দলের দুর্বল প্রদর্শনের পরে এটিই কংগ্রেসের প্রথম ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর এবং গোয়াতে ভোটের ফল বেরিয়েছে ১০মার্চ। পাঞ্জাব বাদে বাকি চারটি রাজ্যই ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার ছিল। বিজেপি চার রাজ্যেই ক্ষমতা ধরে রেখেছে, অন্যদিকে কংগ্রেসকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে আম আদমি পার্টি পাঞ্জাবে সরকার গড়েছে।
দেশের সবচেয়ে পুরনো দলটি চারটি রাজ্যে বিজেপিকে শক্তিশালী লড়াই দিতেও ব্যর্থ হয়েছে। সূত্রের খবর রবিবারের বৈঠকে কংগ্রেস নেতারা পাঁচটি রাজ্যে ভোটের পরাজয় এবং দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী প্রধান সোনিয়া গান্ধী। রাহুল, প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর বারবার ব্যর্থ হওয়া, ভোটে কংগ্রেসের দুর্বল প্রদর্শন আবারও গান্ধী পরিবারকে সমালোচনার মুখে ফেলছে৷ এবং কংগ্রেসে অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের দাবিকে পুনরুজ্জীবিত করছে। দলটি এর আগে বলেছিল যে তারা পূর্ণকালীন সভাপতি নির্বাচনের জন্য এই বছরের সেপ্টেম্বরে নির্বাচন করবে। ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে দলের দুর্বল প্রদর্শনের পর রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং সোনিয়াকে অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল।