করোনা নিরাময়ের থেরাপি আবিষ্কার করে সায়েন্টিস্ট চ্যালেঞ্জ জিতল ১৪ বছরের এই কিশোরী
করোনা নিরাময়ের থেরাপি আবিষ্কার করে সায়েন্টিস্ট চ্যালেঞ্জ জিতল ১৪ বছরের এই কিশোরী
একদিকে ট্রায়াল চলছে ভ্যাকসিনের, অন্যদিকে বিজ্ঞানীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ওষুধের খোঁজে, যার মাধ্যমে বিশ্ব থেকে করোনা ভাইরাস দূর করা সম্ভব হবে। সকলের মধ্যে এক কিশোরী মেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এই কিশোরী কোভিড–১৯–এর সম্ভাব্যময় তত্ত্ব সরবরাহ করতে পারে এমন একটি জিনিস আবিষ্কার করেছে।
থ্রিএম ইয়ং সায়েন্টিস্ট চ্যালেঞ্জ
টেক্সাসের ফ্রিসকোর বাসিন্দা ১৪ বছরের অনিকা ছেবরোলু ২০২০ সালের থ্রিএম ইয়ং সায়েন্টিস্ট চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হয়েছেন এবং ২৫ হাজার ডলার পুরস্কার স্বরূপ পেয়েছেন। অনিকার সফলতার পেছনে তার সৃষ্টি হল সিলিকো পদ্ধতি ব্যবহার করে এমন একটি সীসা অনু আবিষ্কার করা যেটি সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ভেতর থাকা স্পাইক প্রোটিনকে বাছাই করতে পারে। অনিকা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘গত দু'দিন ধরে লক্ষ্য করছি প্রচুর সংবাদমাধ্যম আমার প্রজেক্টের বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে, যেহেতু এটা সার্স-কোভ-২-এর সঙ্গে সম্পর্কিত এবং অন্যদের মতো আমিও এই সম্মিলিত প্রত্যাশার অংশ, যেখানে এই মহামারি শেষ হয়ে মানুষ আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাক আশা রাখি।'
করোনা ভাইরাসে মৃত ১১ লক্ষ মানুষ
হু-এর মতে, গত ডিসেম্বরে চিনের উহান শহর ছড়িয়ে পড়া এই মারণ রোগ করোনা ভাইরাস ইতিমধ্যে বিশ্বের ১১ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়েছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী আমেরিকায় কোভিডে মারা গিয়েছেন ২১৯,০০০ জন।
মহামারির আগেই অনিকা জমা দেয় তার প্রজেক্ট
ভারতীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন নাগরিক অনিকা অষ্টম শ্রেণীতে পড়াকালীন তাঁর এই প্রজেক্ট জমা দিয়েছিলেন। তবে কোভিড-১৯ নিরাময়ের জন্য সর্বদা এটার ওপর মনোনিবেশ করা হবে না। প্রাথমিকভাবে অনিকার উদ্দেশ্য হল সিলিকো পদ্ধতি ব্যবহাররে মাধ্যমে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের নেতৃত্ব প্রদানকারী উপাদানকে সনাক্ত করা। অনিকা বলেন, ‘মহামারি, ভাইরাস এবং ওষুধ আবিষ্কারের পেছনে বেশ খানিকটা সময় ব্যয় করেছি, আর এটা এখন ভাবতে খুব অবাক লাগছে যে আমরা এরকম একটা পরিস্থিতিতে বাস করছি।' কিশোরী আরও জানান যে এই ভাইরাসের তীব্রতা এতটাই যে তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বে মহামারির রূপ নেয়।
১৯১৮ সালের ফ্লু মহামারি থেকে অনুপ্রাণিত
অনিকা তার মেন্টরের সহায়তায় সার্স-কোভ-২ ভাইরাসকে লক্ষ্য করে দিক পরিবর্তন করে।
অনিকা জানায়, ১৯১৮ সালে ফ্লু মহামারি সম্পর্কে জেনে এবং বাজারে বার্ষিক টকা এবং অ্যান্টি-ইনফ্লুয়েঞ্জা ওষুধ সত্ত্বেও আমেরিকায় প্রতি বছর কত লোক মারা যায় তা জানতে পেরে সে ভাইরাসগুলির সম্ভাব্য নিরাময়ের সন্ধান করতে অনুপ্রাণিত হয়।
উৎসবের আমেজে করোনা ভ্রুকুটি, কেরলের উদাহরণ টেনে গোটা দেশকে সতর্কবার্তা হর্ষ বর্ধনের