উৎসবের আমেজে করোনা ভ্রুকুটি, কেরলের উদাহরণ টেনে গোটা দেশকে সতর্কবার্তা হর্ষ বর্ধনের
দেশে করোনা প্রকোপ যখন প্রথম চিহ্নিত হতে শুরু করে তখন মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি কেরলেও ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল সংক্রমণ। তবে সেই সংক্রমণ রুখে দিয়ে দেশে-বিদেশে অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছিল বাম শাসিত রাজ্য কেরল। তবে এরপরই আসে মালায়লম নতুন বছরের উৎসব ওনাম। সেই উদাহরণ টেনে এবার গোটা দেশকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।
করোনা সংক্রমণ কমার ইঙ্গিত
করোনা সংক্রমণের চূড়ায় পৌঁছানো ইতিমধ্যে চাক্ষুষ করেছে দেশ। কিছুটা সংক্রমণ কমার ইঙ্গিত মিললেও এখনও দিনে ৫০ হাজারের বেশি নয়া কেস চিহ্নিত হচ্ছে। এরই মধ্যে করোনা সংক্রমণে দ্বিতীয় প্রবাহের ভ্রুকুটি। এই আবহে নবরাত্রী, দুর্গা পুজো, দশেরা, দিপাবলীর জন্য তৈরি হচ্ছে দেশ। করোনা ভয় কাটিয়ে উঠে উৎসবের জন্যে তৈরি সবাই। আর এই বিষয়টাই চিন্তায় ফেলেছে বিশেষজ্ঞদের।
করোনা আবহে পুজোয় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে
করোনা আবহে পুজোয় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তবে, উৎসবে সামাজিক দূরত্ববিধি না মানলে সংক্রমণের মাত্রা যে প্রবল হারে বেড়ে যাবে, তা বলাই বাহুল্য। তবে এই আবহে সত্যি কথা হল, বাংলার মতো একাধিক রাজ্যেই এখন আর সামাজিক দূরত্ব বিধি মানা হচ্ছে না। কেরলও এই একই ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল ওনামের সময়। এবং এরপরই সেরাজ্যে করনা সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করে।
ওনামের পরই কেরলে বৃদ্ধি পায় করোনা সংক্রমণ
ওনামের পরই কেরলে চলতি মাসের প্রথম ১৭ দিনেই ১ লক্ষ ৩৫ হাজার লোক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। অথচ করোনা সংক্রমণ রোধে ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলি এতদিন তাকিয়ে ছিল কেরলের দিকেই। সেই রোল মডেলের তকমা অবশ্য এখন মুছে গিয়েছে, সৌজন্যে ওনাম। এবং এই ঘটনাই ভীত করেছে বিশেষজ্ঞদের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের সতর্কবার্তা
এই প্রসঙ্গ টেনেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেছেন, 'ওনাম উৎসবে কড়া স্বাস্থ্যবিধি লাগুতে অবহেলা করেছে কেরল। তারপর সেখানে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মূল্য চোকাচ্ছে কেরল। উৎসবে সামাজিক দূরত্ববিধি না মানলে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়বে। তাই উৎসবের আবহে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা যাতে না করা হয়। নয়ত ভারতের অতি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণ দেখা দেবে।'
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছে ৫৫ হাজার
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শেষ বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৫৫ হাজার ৭২২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৭৯ জনের৷ মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৭৫ লক্ষ ছাড়িয়েছে৷ গতকালের চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা কমল দেশে৷ পাশাপাশি মৃতের সংখ্যা অর্ধেকেরও কম হয়েছে৷ রবিবারে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬১ হাজার ৮৭১ জন। মৃত্যু হয়েছিল ১ হাজার ৩৩ জনের৷
বাংলায় মোট করোনা কেস ৩ লক্ষ ২১ হাজার ৩৬
পশ্চিমবঙ্গে শেষ বুলেটিন অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৮৩ জন৷ সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৮০৬ জন, মৃত্যু হয়েছে ৬৪ জনের৷ সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩ হাজার ১১৩ জন৷ এতদিনে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ২১ হাজার ৩৬ জন। ৬ হাজার ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে৷
করোনা আবহে ওয়াইফাইতে দুর্গা দর্শন, ঝাড়খণ্ডের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শিক্ষা নিক বাংলা