দলিতদের সুরক্ষা দিতে আইন! বিতর্কিত আদেশ প্রত্যাহার করল সুপ্রিম কোর্ট
দলিতদের সুরক্ষা সংক্রান্ত ২০১৮ সালের একটি আদেশ প্রত্যাহার করে নিল সুপ্রিম কোর্ট। দেখা যায় ওই সময় সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া আদেশে দলিত আইন লঘু হয়ে পড়েছিল।
দলিতদের সুরক্ষা সংক্রান্ত ২০১৮ সালের একটি আদেশ প্রত্যাহার করে নিল সুপ্রিম কোর্ট। দেখা যায় ওই সময় সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া আদেশে দলিত আইন লঘু হয়ে পড়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ফলে, ১৯৮৯ সালে তফশিলি জাতি ও উপজাতি প্রতিরোধ আইনের অধীনে করা মামলাগুলিতে আইন লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের আগে যে অনুমোদনের প্রয়োজন হত, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে এফআইআর দায়েরের আগে প্রাথমিক তদন্তের প্রয়োজন হবে না।
সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের সমতা ও নাগরিক অধিকারের দাবিতে আন্দোলন এখনও চলছে। তাঁদের বিরুদ্ধে এখনও বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়। সমাজ থেকে অস্পৃশ্যতা এখনও যায়নি। পাশাপাশি তাদের সবার কাছে এখনও সর্বাধুনিক সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া যায়নি। জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের ফলে বড় রেহাই পেল সরকার। এৎ আগে সরকারের তরফ থেকে সর্বোচ্চ আদালতের কাছে ওই আদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হয়েছিল।
গত বছরের মার্চে সুপ্রিম কোর্টের ২ সদস্যের বেঞ্চ বলেছিল, সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে তফশিলি জাতি উপজাতিদের আইনের অপব্যবহারের কারণে, দলিতদের উৎপীড়নের কোনও অভিযোগ দায়ের করা হলে সঙ্গে সঙ্গে কোনও গ্রেফতার করা যাবে না। প্রথমে তদন্ত করে তারপর এফআইআর দায়ের কথাও জানিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত।
[মহারাষ্ট্রে ১২৫ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির, রয়েছে একাধিক চমক]
সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের পরেই তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের তরফ থেকে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয়। এরপরেই সরকারের তরফ থেকে সর্বোচ্চ আদালতে আগেকার আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানানো হয়। কেন্দ্রের তরফেও আইন সংশোধন করা হয়।
সর্বোচ্চ আদালতের তরফ থেকে এদিন জানানো হয়েছে, আইনের বিধানকে হ্রাস করে আইনের অপব্যবহার বন্ধ করা যায় না।
[ ৩৭০ ধারা বিলোপ! বক্তব্য জানাতে কেন্দ্রকে ৪ সপ্তাহ সময় সুপ্রিম কোর্টের]