টাকার দামে রেকর্ড পতন, ধাক্কা শেয়ার বাজারে
টাকার দামে রেকর্ড পতন, ধাক্কা শেয়ার বাজারে
টাকার দামে রেকর্ড পতন। ৪৩ পয়সা পড়েছে টাকার দাম। ডলারের তুলনায় ৮১.৫২ টাকা হয়েছে। এদিকে টাকার দামে পতনের জেরে ধাক্কা এসেছে শেয়ার বাজারেও। সোমবার বাজার খুলতেই পড়তে শুরু করে শেয়ার বাজার। মনে করা হচ্ছে মার্কিন মুলুকে মন্দার শঙ্কার জেরেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে লাগাতার পড়ছে টাকার দাম।
টাকার দামে রেকর্ড পতন
ফের পড়ল টাকার দাম। গত এক সপ্তাহ ধরে টাকার দাম পড়েই চলেছে। সোমবার বাজার খুলতেই টাকার দাম পড়তে শুরু করে। এক ধাক্কায় ৪৩ পয়সা কমেছে টাকার দাম। টাকার দাম পড়তে পড়তে ৮১.৫০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে টাকার দাম। এর আগে ডলার প্রতি ৮০ পয়সা হয়েছিল টাকার দাম। গত সপ্তাহে শুক্রবার বাজার বন্ধ হওয়ার সময় টাকার দাম পড়েছিল ৮০.৩টাকায়। পর পর এই টাকার দামের পতনের জেরে ধাক্কা খেয়েছে বৈদিশি বাণিজ্য।
শেয়ার বাজারে ধাক্কা
টাকার দাম পড়তেই শেয়ার বাজারে বিপুল ধাক্কা আসে। সোমবার বাজার খোলার আগেই মন্দার আঁচ দেখা গিয়েছিল শেয়ারবাজারে। ৫৭৩ পয়েন্ট পড়েছে শেয়ার বাজার। িনফটিতেও তার প্রভাব পড়েছে। নিফটি পড়েছে ১.৫১ শতাংশ। একাধিক শেয়ারের দাম পড়েছে। টাকার দামে পতনের কারণেই শেয়ার বাজারে এই ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। উৎসবের মরশুম চলে এলেও শেয়ার বাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি। মন্দার খাতেই বইছে শেয়ার বাজার।
কোন কোন শেয়ারের দাম পড়ল
একাধিক শেয়ারের দাম পড়েছে। সবচেয়ে বেশি যে শেয়ারগুলির দাম পড়েছে তারমধ্যে রয়েছে টাটা স্টিল, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা,মারুতি,ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক,টাইটান, পাওয়ার গ্রিড। তবে তার মধ্যেও লাভের মুখ দেখেছে একাধিক সংস্থা। তালিকায় রয়েছে নেসলে, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার। তবে মোটের উপরে মন্দার বাজারই দেখেছে শেয়ার বাজার। নবরাত্রি শুরুর দিনেও বাজার চাঙ্গা হওয়ার কোনও আশা দেখতে পাচ্ছেন না শেয়ার বাজারের কারবারিরা।
মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা
মনে করা হচ্ছে লাগাতার শেয়ার বাজারে পতন আর টাকার দামে পতনের অন্যতম কারণ মার্কিন অর্থনীতির মন্দা। ২০২৩ সালে আমেরিকায় রিসেশন শুরু হয়ে যাবে। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছেন অর্থনীতি বিদরা। ইতিমধ্যেই তার প্রভাব পড়তে শুরু করে দিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। মনে করা হচ্ছে আগামী কয়েক মাসে মার্কিন অর্থনীতিতে আরও বড় ধাক্কা আসবে। তার প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীততে। ভারতের বাজার মন্দার খাতে বইতেশুরু করবে।এবং মুদ্রাস্ফীতি চরম আকার নেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।