বিহারে নতুন উত্তেজনা শ্রীকৃষ্ণ হাসপাতালে, উদ্ধার নরকঙ্কাল, দেহাংশ, তদন্তের নির্দেশ স্বাস্থ্য দপ্তরের
এনসেফ্যালাইটিসে মৃতের সংখ্যা যখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, ঠিক তখনই বিহারর মুজফফরপুরের শ্রীকৃষ্ণ হাসপাতালে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল নরকঙ্কাল ঘিরে।
এনসেফ্যালাইটিসে মৃতের সংখ্যা যখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, ঠিক তখনই বিহারর মুজফফরপুরের শ্রীকৃষ্ণ হাসপাতালে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল নরকঙ্কাল ঘিরে। হাসপাতালের পিছনেই উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু নরকঙ্কাল, মানুষের মাথার খুলি, পোড়া দেহাংশ। হাসপাতাল চত্বরেই পিছনের জঙ্গলে পড়েছিল সেগুলি। এই ঘটনায় শনিবার সকাল থেকেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছেছে তদন্তকারী দল। কোথা থেকে এগুলি হাসপাতাল চত্ত্বরে এলো এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিহারের স্বাস্থ্য দপ্তর।
হাসপাতালের সুপার এসকে সাহি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ওই হাড়গোড়গুলি সম্ভবত হাসপাতালের ময়নাতদন্ত বিভাগের বর্জ্য পদার্থ। তবে এভাবে খোলা জায়গায় মানুষের হাড়গোড় ফেলাকে অমানবিক কাজ বলেই মনে করছেন তিনি। এব্যাপারে অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁকে তদন্ত কমিটি গঠন করতে বলবেন বলে জানিয়েছেন।
Bihar: An investigating team arrives at the site where human skeletal remains were found behind SKMCH, Muzaffarpur. Sona Prasad Singh, SHO Ahiyapur, Muzaffarpur says, "After investigation it has been revealed that unclaimed dead bodies are burnt here" pic.twitter.com/iRY5Xv724K
— ANI (@ANI) June 22, 2019
হাসপাতালের কেয়ারটেকার জনক পাসোয়ান বলেছেন, 'ময়নাতদন্তের পর সব দেহই হাসপাতালে পিছনের জঙ্গলে ছুড়ে ফেলা হয়। আমি কখনও এব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে কিছুই জিজ্ঞেস করিনি।' তদন্তকারী গোয়েন্দারা বলেছেন, যে কয়েকশো হাড়গোড় উদ্ধার হয়েছে সেগুলি কখনও পোড়ানো হয়নি বা মাটি চাপাও দেওয়া হয়নি। এদিকে মুজাফ্ফরপুরে এনসেফ্যালাইটিসে শনিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩০ জন। শনিবার হাসপাতালে রোগীদের দেখতে গিয়েছিলেন সিপিআই নেতা কানহাইয়া কুমার।