মসজিদ থেকে মাইক সরানোর ডেডলাইন বেঁধে দিলেন রাজ ঠাকরে, মহারাষ্ট্রে জারি হল সতর্কতা
মসজিদ থেকে মাইক সরানোর ডেডলাইন বেঁধে দিলেন রাজ ঠাকরে, মহারাষ্ট্রে জারি হল সতর্কতা
মসজিদ থেেক মাইক সরানোর আজই সময়সীমা শেষ হচ্ছে। রাজ ঠাকরে মসজিদ থেকে মাইক সরানোর জন্য ৪ মে পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। আজই শেষ হচ্ছে সেই সময়সীমা। তারপরেই কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে মহারাষ্ট্রে। সতর্ক করা হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকেও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গতকালই রাজ ঠাকরে দাবি করেছিলেন যে যদি ৪ তারিখ সকালে আজানের শব্দ শোনা যায়, তাহলে মসজিদের সামনে যেন লাউডস্পিকার বাজানো হয়।
আজই শেষ হচ্ছে রাজ ঠাকরের দেওয়া সময়সীমা। রাজ ঠাকরে মসজিদ থেকে মাইক সরানোর জন্য ৪ তারিখের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। রীতিমত হুমকি দিয়ে রাজ ঠাকরে বলেছিলেন, ৪ মে মসজিদে মাইকে আজান শোনা গেলে পাল্টা হনুমান চালিশা মাইকে মাজানো হবে মসজিজের সামনে। আজ সকালেই বাল ঠাকরের একটি পুরনো ভিডিও শেয়ার করেছেন রাজ ঠাকরে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা এই তৎপর হয়ে উঠেছিল। রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়ে এমএনএস প্রধান হুঁশিয়ারি দিয়েছিেলন যে একবার তারা ক্ষমতায় এলে মসজিদে মসজিদে আজান বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বাল ঠাকরের ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও শেয়ার করে চরমবার্তা দিয়েছেন রাজ ঠাকরে। বাল ঠাকরের সেই ভিডিওতে মসজিদ থেকে মাইক সরিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছে। এই একই হুঁশিয়ারি কয়েকদিন আগে দিয়েছিলেন রাজ ঠাকরে। সেই ভিডিওতে বাল ঠাকরেকে বলতে শোনা গিয়েছে মারাঠিতে। তিনি বলেছেন,আমার সরকার ক্ষমতায় এলে রাস্তায় নমাজ পড়া বন্ধ করে ছাড়ব। উন্নয়নের পথে কখনওই ধর্মকে আসতে দেওয়া হবে না। যদি কোনও হিন্দু ধর্মাচারণও উন্নয়নের পথে আসে সেক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ করবে তার সরকার।
ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রাজ ঠাকরের বাড়ির সামনে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। যাতে কোনও রকম অশান্তি না ছড়ায় সেদিকে সতর্ক করা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে রাজ ঠাকরের খুব একটা সুসম্পর্ক নেই। বারবারই প্রকাশ্যে বিবাদে জড়িয়েছেন তাঁরা। হঠাৎ করে রাজ ঠাকরের এই আগ্রাসী বার্তার নেপথ্যে বড় কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মসজিদ থেকে লাউড স্পিকার সরানো নিয়ে পদক্ষেপ করেছে উত্তর প্রদেশও। যোগী সরকার ইতিমধ্যেই একাধিক মসজিদ থেকে লাউড স্পিকার সরিয়ে দিয়েছে। নতুন করে কোনও লাউড স্পিকার বসানো যাবে না বলে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। একাধিক জায়গায় মসজিদে লাউড স্পিকারের ব্যবহার নিয়ে পদক্ষেপ শুরু হয়েছে। গতকাল ইদের দিনে দেশের একাধিক রাজ্যে অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে।