'অর্থনীতির কোনও জ্ঞান নেই প্রধানমন্ত্রীর', নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ রাহুল গান্ধীর
'অর্থনীতির কোনও জ্ঞান নেই প্রধানমন্ত্রীর', নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ রাহুল গান্ধীর
অর্থনীতির কোনও জ্ঞানই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেই। এমনই অভিযোগ এনে কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। রাজস্থানের জয়পুরে এক সভায় ভাষণ রাখার সময় রাহুল গান্ধী বলেন, 'পুরোনো নিয়ম অনুযায়ী বর্তমানে দেশের জিডিপি মাত্র ২.৫ শতাংশ করে বাড়ছে।' এছাড়া বিশ্বব্যপী ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগও আনা হয় নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে।
জয়পুরের জনসভায় রাহুল
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী আজ জয়পুরে বলেন, 'ইউপিএ জামানাতে ভারত ৯ শতাংশ হারে বেড়ে চলছিল। এখন জিডিপি পরিমাপের মান বদলেছে। এখন দেশের অর্থনীতি ৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। তবে আমরা যদি পুরোনো মাণদণ্ড ব্যবহার করে দেশের জিডিপি মাপি তবে আমরা দেখব ভারতের প্রবৃদ্ধি হার মাত্র ২.৫ শতাংশ।'
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে রাহুল গান্ধী বলেন, 'আমার তো মনে হয় প্রধানমন্ত্রী কোনও দিন অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনাই করেননি। তিনি অর্থনীতি বোঝেন না। মোদী তো জিএসটিও বোঝে না। একটা মানুষ যখন নোট বাতিল করতে পারে, সে অর্থনীতি বোঝএ না। একটি আট বছরের ছেলেও বলে দিতে পারে যে নোটবাতিল দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করেছে।'
ভারতকে নামিয়ে এনেছেন নরেন্দ্র মোদী
রাহুল বলেন, 'বিশ্বের চোখে ভারতের ভাবমূর্তি চিরকাল ভাতৃত্ববোধের জন্যে পরিচিত ছিল। আগে আমরা পাকিস্তানের সমালোচনা করতাম। আর এখন ভারতের অবস্থা সেরকম। সেই পরিস্থিতিতে ভারতকে নামিয়ে এনেছেন নরেন্দ্র মোদী। এখন ভারতকে বিশ্বের ধর্ষণের রাজধানী হিসাবে পরিচিত। তবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেই বিষয়ে একটি কথাও বলবেন না। যখন দেশের যুব সমাজ প্রধানমন্ত্রীকে দেশের কর্মসংস্থান নিয়ে প্রশ্ন করেন, তখন যুব সমাজকেই গুলি মারে এই সরকার। আমি প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছি যে উনি যে কোনও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। আমি বলছি, উনি পারবেন না। তবে উনি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিতে পারবেন চিরকাল।'
রাজ্যে রাজ্যে সফরে যাবেন রাহুল
আজ রাহুলের সমাবেশের জন্যে সেজে ওঠে জয়পুরের ঐতিহাসিক অ্যালবার্ট হল। চল্লিশ ফুট উঁচু কাট-আউটও চারদিকে। 'যুব-আক্রোশ' নামক জনসভায় বক্তব্য রাখতে আজ জয়পুরে যান পারাহুল গান্ধী। এদিকে সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধী শুধু রাজস্থান নয়, একে একে অনেক রাজ্যেই সফর করবেন। গোটা দেশে বেকারত্ব পঞ্জি তৈরি করার দাবি জানানোর দাবি করা হবে এই সব সফরে। তাছাড়া নাগরিকত্ব আইন, এনপিআর, এনআরসি, বেকারি নিয়ে সরকারকে নিশানা করা হবে।