পাঞ্জাবে পরিবর্তনে হাওয়া বইছে কোন স্রোতে ভর করে, কাদের ভাঙতে সফল কেজরিওয়াল?
পাঞ্জাবে পরিবর্তনে হাওয়া বইছে কোন স্রোতে ভর করে, কাদের ভাঙতে সফল কেজরিওয়াল?
পাঞ্জাবে আপের এই পরিবর্তনের পালে হাওয়া দিয়েছে কোন কোন কেন্দ্র। কার কার ডেরায় থাবা বসিয়েছে আম আদমি পার্টি। ভোটের ফলাফল খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে কংগ্রেস এবং শিরোমণি অকালিদলের একাধিক কেন্দ্রে থাবা বসিয়েছে আপ। পরিসংখ্যানের হিসেবে বলতে গেলে আপের ২০টি আসন থেকে ৯১টি আসন প্রাপ্তির নেপথ্যে রয়েছে একাধিক সমীকরণ।
কার কার কেন্দ্রে থাবা বসাল আপ
পাঞ্জাবে অপ্রত্যাশিত ফলাফল করেছে আপ। গতবছরে শেখানে পার্টি ২০টি আসন পেয়েই থমকে গিয়েছিল সেখানে এক ধাক্কায় একেবারে ৯১টি আসন পেয়েছে তারা। এই ৯১টি আসন প্রাপ্তি হল কার গড়ে থাবা বসিয়ে। ভোটের ফলাফল দেখলেই বোঝা যাবে কংগ্রেসের ৬২টি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস। তার অন্যতম কারণ নেতৃত্বের অভাব আর গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। যে অমরিন্দর সিংয়ের জোরে ২০১৭ সালে পাঞ্জাবে জিতেছিল কংগ্রেস। সেই অমরিন্দর সিং সরে যাওয়ার পর চরম গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব তৈরি হয় পাঞ্জাবে। সিধুকে নেতা হিসেবে অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। আবার চান্নিকেও মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে মেনে নিতে পারেননি অনেকে। তার প্রভাব পড়েছে ভোট বাক্সে। সেকারণে কংগ্রেসের থেকেই সিংহভাগ আসন ছিনিয়ে নিয়েছে আম আদমি পার্টি।
শিরোমণি অকালি দলেও থাবা বসিয়েছে আপ
শুধু কংগ্রেস নয়, শিরোমণি অকালি দলেও থাবা বসিয়েছে আম আদমি পার্টি। শিরোমণি অকালিদলের ১০টি আসন তারা পেয়েছে। শিরোমণি অকালি দলের নেতৃত্বকেও তেমন বিশ্বাস করতে পারছিল না পাঞ্জাবের জনতা। কারণ এরা প্রথমে বিজেপিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন কেন্দ্রে। তারপরে আবার কৃষি আইন প্রণয়নের পর বিজেপি থেকে বেরিয়ে আসে শিরোমণি অকালিদল কিন্তু মানুষ সেটা মেনে নিতে পারেনি। সেকারণেই শিরোমণি কালি দলের ১০টা আসন আপ অনায়াসেই দখল করতে পেরেছে।
৭০ বছর পর পরিবর্তন
৭০ বছর পরে কংগ্রেসে পরিবর্তন হয়েছে। আম আদমি পার্টির হাত ধরে পাঞ্জাবে বইছে পরিবর্তনের হাওয়া। পাঞ্জাবের ভোটারদের কাছে যে কংগ্রেস আর গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছেনা সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে আম আদমি পার্টি। আম আদমি পার্টি প্রথম থেকে পাঞ্জাবের মানুষের সমস্যা নিয়ে কথা বলেছে। জল, বিদ্যুৎ, পানীয়জল, কর্মসংস্থান নিয়ে কথা বলেছে। তাতেই মন জয় করে ফেলেছিলেন কেজরিওয়াল। তারই প্রভাব পড়েছে ভোট বাক্সে।
কংগ্রেসে বিপুল ধাক্কা
কংগ্রেস যাকে বলে ধরাশায়ী হয়েছে পাঞ্জাবে। একের পর এক হেভিওয়েট প্রার্থীরা হেরেছেন পাঞ্জাবে। নভজ্যোত সিং সিধু থেকে শুরু করে সোনু সুদের বোন মালবিকা সুদ। কংগ্রেসের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী চরণজিৎ সিং চান্নিও হেরেছেন। শোনা যাচ্ছে আজই তিনি পদত্যাগ করবেন। হারের পর আমআদমি পার্টিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চান্নি। এদিকে কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনে উল্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। দিল্লি জয়ের পর এই প্রথম বাইরের কোনও রাজ্যে এমন বিপুল ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছ আম আদমি পার্টি।
প্রিয়াঙ্কার হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টাও ব্যর্থ, গেরুয়া ঝড়ে উত্তরপ্রদেশে নিশ্চিহ্ন কংগ্রেস