অসমে ২ যুবককে পিটিয়ে মারায় মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার! এমনই বিবরণ দিল ঘটনার
গুয়াহাটির দুই যুবককে পিটিয়ে মারার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রধান অভিযুক্ত আলফাজোজ তিমুং ওরফে আলফাকে। গ্রেফতারের পর পুরো ঘটনার বর্ণনাও দিয়েছে অভিযুক্ত।
গুয়াহাটির দুই যুবককে পিটিয়ে মারার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রধান অভিযুক্ত আলফাজোজ তিমুং ওরফে আলফাকে। গ্রেফতারের পর পুরো ঘটনার বর্ণনাও দিয়েছে অভিযুক্ত। ৮ জুন অসমের কার্বি আংলং-এ বেড়াতে যাওয়া দুই যুবককে পিটিয়ে মারা হয়।
মৃত দুই যুবকের নাম সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার নীলোৎপল(২৯) এবং তার ব্যবসায়ী বন্ধু অভিজিৎ(৩০)। দুজনে কার্বি আংলং-এ বেড়াতে গিয়েছিল।
প্রধান অভিযুক্ত আলফাজোজ তিমুং জানিয়েছে, কার্বি আংলং-এর কাংথিলাংসো ফলসের কাছে নীলোৎপল ও অভিজিৎকে প্রথম দেখে। সন্ধে ছটা নাগাদ প্রকৃতিপ্রেমী দুই যুবক শোভাময় মাছের খোঁজে ছিল। কেন সেখানে তাঁরা গিয়েছেন এই প্রশ্নে আলফাজোজ তিমুংএ-র বিতর্কে জড়িয়ে ওই দুই যুবকের সঙ্গে।
এই সময় তিমুং কাংথিলাংসো ফলসের কাছে তার বন্ধুদের ডেকে পাঠায়। পরিস্থিতি খারাপ বুঝতে পেরে নীলোৎপল ও অভিজিৎ তাদের গাড়িতেই এলাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তিমুং ও তার বন্ধুরে সেই গাড়ির দিকে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। এমন কী নীলোৎপল ও অভিজিতের গাড়ির পিছু নেয় তারা।
এরই মধ্যে তিমুং তার অন্য বন্ধুদের সতর্ক করে দেয় যাতে পানজুরিতে নীলোৎপল ও অভিজিতের এসইউভি থামানো হয়। বলে তারা ছেলে ধরা। একটি ছোট মেয়েকে তারা অপহরণ করেছে বলে বন্ধুদের উত্তেজিত করে সে।
নীলোৎপল ও অভিজিতের এসইউভি পানজুরিতে পৌঁছনো মাত্রই মত্ত অবস্থায় বেশ কয়েকজন সেই গাড়ি থামায়। এরপর গাড়ি থেকে বের করে তাদের মারধর শুরু করা হয়। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় তিমুং ও তার অন্য বন্ধুরা। তারাও দুজনকে মারধর শুরু করে। প্রায় একঘণ্টা ধরে এই মারধর চলে।
ডোমোমোকা থানা থেকে পুলিশ পৌঁছতেও দেরি করে। প্রায় দুঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। সেই সময় দুই যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুজনকে উদ্ধার করে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে পৌঁছনোর বন্দোবস্ত করলেও, পথেই মারা যায় তারা।
জানা গিয়েছে, এই তিমুং-ই বছর দুই আগে অপর একটি মারধরের ঘটনায় যুক্ত ছিল। সেই সময় মোটর মেকানিক মিঠু দাস নামে বছর ২৩-এর যুবককে পিটিয়ে মারা হয়। ঘটনাটি ঘটে একই জেলার ডেনগাঁও-এ। ক আদিবাসী বালিকাকে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগে ওই যুবককে পিটিয়ে মারা হয়।