নয়া শিক্ষানীতির বর্ষপূর্তি, পাঁচটি ভাষায় পড়া যাবে ইঞ্জিনিয়ারিং! একাধিক বড় ঘোষণা মোদীর
নয়া শিক্ষানীতির বর্ষপূর্তি, পাঁচটি ভাষায় পড়া যাবে ইঞ্জিনিয়ারিং! একাধিক বড় ঘোষণা মোদীর
জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ চালু হয়ে আজ এক বছর পার হয়ে গেল নিমেষে। ছাত্র স্বার্থ সুরক্ষিত করতে এই নয়া শিক্ষানীতি আগামিদিনে কতটা সূদূর প্রসারি ছাপ ফেলবে তা সময় বলবে। কিন্তু নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে বছর পার করলেও এখনও পর্যন্ত বিতর্কের অন্ত নেই। এবার এই নয়া শিক্ষানীতির বর্ষপূর্তিতেই বড় ঘোষণা করতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
কোন কোন ভাষায় মিলবে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ
এদিন জাতীয় শিক্ষানীতির বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ভাষন দিতে দেখা যায় মোদীকে। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমেই রাখেন নিজের বক্তব্য। আর তখনই তিনি জানান ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে পাঁচটি ভাষায় পড়াশোনা করা যাবে। হিন্দি, তামিল, তেলেগু, মারাঠি এবং বাংলায় মিলবে পড়াশোনার সুযোগ। ধীরে ধীরে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে বলেও জানান তিনি। এমনকী এর জন্য ইতিমধ্যেই নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। যার সাহায্যে শীঘ্রই ইঞ্জিনিয়ারিং পঠনপাঠনকে ১১টি ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করা সম্ভব হচ্ছে।
নতুন ভারত নির্মাণে জোর
পাশাপাশি মোদী এও জানান ইতিমধ্যেই ভারতের ৮টি রাজ্যের ১৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আঞ্চলিক ভাষায় পঠনপাঠন শুরু হতে চলেছে। অন্যদিকে নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে একগুচ্ছ আশার কথা শোনাতে দেখা যায় মোদীকে। তিনি বলেন, "আগামী ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতার ৭৫ বছরে পা দেবে দেশ। জাতীয় শিক্ষানীতির জন্য শুরু প্রকল্প আগামীতে নতুন ভারত নির্মাণে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করবে। এই শিক্ষানীতি সর্বতভাবে অত্যন্ত আধুনিক। শিক্ষার অগ্রগতিতে সবদিক থেকে কাজ করা সম্ভব।"
ভারতের ভাগ্য বদলাবে এই জাতীয় শিক্ষানীতি
মোদীকে আরও বলতে শোনা যায়, আগামীতে ভারতের ভাগ্য বদলাবে এই জাতীয় শিক্ষানীতি। এই নীতির সঠিক রূপায়ন সম্ভব হলে বিদেশ থেকে ভারতে পড়তে আসবে পড়ুয়ারা। একইসাথে দেশীয় পড়ুয়ারা মাতৃভাষায় পড়াশোনা করলে তাদের আত্মবিশ্বাসও অনেকটাই বাড়বে। সঙ্গে ডিজিটাল প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারলে আগামীতে দেশেরও প্রভূত উন্নতি সম্ভব।
কোন কোন ক্ষেত্রে রয়েছে বিতর্ক ?
এদিকে নতুন শিক্ষানীতিতে তুলে দেওয়া হচ্ছে এম ফিল কোর্স। পাশাপাশি কলেজে স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর স্তরে প্রবেশিকা পরীক্ষার যাবতীয় দায়িত্ব থাকছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির হাতে। এছড়াও রয়েছে আরও একাধিক সিদ্ধান্ত, যা নিয়ে বিতর্ক অব্যহত দেশজুড়ে। অনেকের মতে শিক্ষায় শ্রেণী বৈষম্যকে আরো প্রকট করে তুলতে ছাত্রদের উপর নামিয়ে আনা হয়েছে এই 'কালা' আইন। শিক্ষাকে শাসক শ্রেণীর হাতে কুক্ষিগত করার নীল নকশা প্রস্তুত করতেই হাতিয়ার করা হচ্ছে জাতীয় শিক্ষানীতিকে।