PM kisan maandhan পেনশন স্কিমের মাধ্যমে মিলবে ৩৬ হাজার টাকা পেনশন! দেরি না করে আজই করুন রেজিস্টার
প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি (PM Kisan) র সুবিধাপ্রাপ্ত কৃষকদের জন্যে সুখবর। এবার কৃষকদের আর্থিক ভাবে সাবলম্বি করে তুলতে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শুধু তাই নয়, বয়সকালে কৃষকদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে ইতিমধ্যে পিএম
PM Kisan scheme/PM kisan maandhan pension scheme: প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি (PM Kisan) র সুবিধাপ্রাপ্ত কৃষকদের জন্যে সুখবর। এবার কৃষকদের আর্থিক ভাবে সাবলম্বি করে তুলতে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শুধু তাই নয়, বয়সকালে কৃষকদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে ইতিমধ্যে পিএম কিষাণ মানধন পেনশন (PM kasan maandhan pension scheme) স্কিম শুরু করেছে কেন্দ্র।
এই যোজনার মাধ্যমে কৃষকদের ৩০০০ টাকা পর্যন্ত পেনশন দেওয়া হবে। ৬০ বছরের পর থেকে দেশের কৃষকরা এই পেনশনের সুবিধা পাবেন। এই প্রতিবেদনে এই পেনশন স্কিমের বিষয়ে আরও বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হল।
গ্যারেন্টেড পেনশন পাবেন দেশের কৃষকরা
পিএম কিষাণ মানধন যোজনার মাধ্যমে দেশের কৃষকদের ৬০ বছরের পর এই যোজনার মাধ্যমে পেনশন দেওয়া হবে। সবথেকে বড় বিষয় এটাই যে কোনও কৃষক যদি পিএম কিষাণের সুবিধা ভোগ করে তাহলে কোনও নথির প্রয়োজন হবে না।
একেবারে ডাইরেক্ট রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে পিএম কিষাণ মানধন যোজনাতে। এই স্কিমের মাধ্যমে কৃষকরা বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করবেন। শুধু তাই নয়, একগুচ্ছ বেনিফিট রয়েছে এই যোজনাতে। দেশের কৃষকদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে এই একের পর এক এই যোজনা নিয়ে আসা হয়েছে।
পিএম কিষাণ মানধন যোজনা আসলে কি?
পিএম কিষাণ মানধন পেনশন (PM kasan maandhan pension scheme) স্কিমের ব্যাপারে এই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে। একটি ওয়েবসাইটও লঞ্চ করা হয়েছে। ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুসারে এই যোজনার মাধ্যমে ৬০ বছর বয়সের পর পেনশন দেওয়া হবে।
দেশের কৃষকদের জন্যে দেশের মানুষের পেটের খিদে মেটে। দেশের কৃষকদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করাই এই যোজনার মূল লক্ষ। আর সেই লক্ষ্যে পিএম কিষাণ মানধন যোজনা স্কিম নিয়ে এসেছে মোদী সরকার।
এই স্কিমের মাধ্যমে নুন্যতম ১৮ বছর সাল থেকে সর্বোচ্চ ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত যে কোনও দেশের কৃষক এই পেনশনের জন্যে আবেদন জানাতে পারবে। আর এই যোজনার মাধ্যমে ৬০ বছরের পর মাসে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত পেনশন, পাওয়া যাবে।
জরুরি ডকুমেন্ট কি লাগবে?
জরুরি কোনও নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। কারণ প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির সম্মান পাচ্ছেন এমন কৃষকরা এই সুবিধা পাবে। তবুও বেশ কয়েকটি নথির প্রয়োজন রয়েছে এই যোজনার মাধ্যমে সুবিধা পেতে। আধার কার্ড, ভোটার কার্ড মতো যে কোনও একটি নথি, বয়সের প্রমাণ, আয়ের প্রমাণ-পত্র, ব্যাংকের পাশবুক, রেজিস্টার মোবাইল নম্বর, পাসপোর্ট সাইজ ফটো।
পারিবারিক পেনশন পাওয়ারও সুযোগ
এই স্কিমের মাধ্যমে সুবিধা পেতে রেজিস্টার কৃষকের বয়স অনুযায়ী টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। আর সেই টাকা বিনিয়োগের করার মাধ্যমে ৬০ বছর বয়সের পর নুন্যতম তিন হাজার টাকা পর্যন্ত মাসে মাসে পেনশন পাওয়া যাবে। বছরে ৩৬ হাজার টাকা গ্যারেন্টেড পেনশন পাওয়া যাবে। এই সুবিধা পাওয়ার জন্যে কৃষকদের সর্বনিম্ন ৫৫ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
শুধু তাই নয়, সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত প্রত্যেক মাসে দিতে হবে। পিএম কিষাণ মানধনের ক্ষেত্রে পারিবারিক অন্যান্য সদস্যদেরও পেনশন পাওয়ার সুবিধা রয়েছে। সংসারের মূল পেনশন প্রাপকের মৃত্যু হলে তাঁর স্ত্রী কিংবা পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ৫০ শতাংশ পেনশনের সুবিধা পাবেন। তবে পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে স্বামী এবং স্ত্রীয়ের নাম থাকতে পারবে।
পিএম কিষাণের সুবিধা প্রাপকরা কীভাবে লাভ পাবেন
পিএম কিষাণ স্কিমের মাধ্যমে সরকার দেশের কৃষকদের প্রত্যেক বছর ২০০০ টাকা করে তিন কিস্তিতে অর্থাৎ ৬ হাজার টাকা দিয়ে থাকে। মূলত কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করতে এই যোজনার মাধ্যমে এই সুবিধা দেওয়া হয়। এই টাকা প্রত্যেক কিস্তিতে সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে চলে যায়।
যদি কোনও কৃষক পিএম কিষাণ মানধন পেনশনের সুবিধা নিতে চায় তাতে খুব সহজে রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে। এছাড়াও খুব সহজে অন্যান্য যোজনারও সুবিধা নিতে পারবেন কৃষকরা।