পাক সেনা বা বিদেশি শক্তি সরায়নি ইমরানকে, সাফ জানালেন মুখপাত্র
সদ্য গদি হারিয়েছেন ইমরান খান। আস্থা ভোটে হেরে ছাড়তে হয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ। আর সেই ঘটনার পিছনে বিদেশি হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন অনেকেই। ইমরান খান নিজে পাক সেনার হাত থাকার কথাও বলেছিলেন। এবার পাকিস্তানের নয়া
সদ্য গদি হারিয়েছেন ইমরান খান। আস্থা ভোটে হেরে ছাড়তে হয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ। আর সেই ঘটনার পিছনে বিদেশি হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন অনেকেই। ইমরান খান নিজে পাক সেনার হাত থাকার কথাও বলেছিলেন। এবার পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রীর অভিষেকের পর সেই সব দাবি নস্যাৎ করল পাক সেনা।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যূত করতে কোনও বিদেশি শক্তি কাজ করেনি। আর আস্থাভোটে সেনাবাহিনীর কোনও হাতও ছিল না। সম্প্রতি ইমরান খান ক্ষমতায় থাকাকালীন পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে একটি হুমকি চিঠি নিয়ে আলোচনা হয়। যে চিঠি আমেরিকার পার দূতাবাসে পাঠিয়েছিল কেউ বা কারা।
বৈঠকের পর ওই চিঠির প্রসঙ্গে সামনে আসায় তৈরি হয়েছিল নতুন জল্পনা। মনে করা হয়েছিল বৈদেশিক শক্তিই ইমরান খান সরকারের পতনের কারণ। পাক সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বাবর ইফতিকার জানিয়েছেন, বৈঠকের পর যে বিবৃতি দেওয়াট হয়েছিল তাতে চিঠির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল ঠিকই। তবে, ষড়যন্ত্রের কথা কোথাও বলা হয়নি।
এক সাংবাদিক বৈঠকে বাবর ইফতিকার আরও জানান ওই চিঠির বিষয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত করেছে পাক সংস্থা আইএসআই। তিনি বলেন, যদি কোনও বিদেশি শক্তি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চায়, তাহলে তা কখনই সফল হতে দেবে না পাকিস্তানও। একই সঙ্গে পাক সেনার যোগ থাকার জল্পনাও উড়িয়ে দিয়েছেন বাবর ইফতিকার।
ইমরান খান দাবি করেছিলেন, আস্থা ভোটে হাত আছে পাক সেনার। সেই দাবি উড়িয়ে ইফতিকারের দাবি, বরং ইমরানই চেয়েছিলেন পাক সেনা হস্তক্ষেপ করুক। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে রাজি ছিল না। তাই, অগত্যা পাক সেনা প্রধান ও আইএসআই-এর ডিজিকে যেতে হয়েছিল পাক প্রধানমন্ত্রীর অফিসে।
সেখানে তিনটি অপশন নিয়ে আলোচনা নয়। তিন বিকল্পের কথা ভাবা হয়েছিল, এক, যেমন আস্থাভোট হওয়ার কথা হোক। দুই, প্রধানমন্ত্রী নিজে পদত্যাগ করুক। তিন, সরকার ভেঙে দেওয়া হোক ও নতুন করে নির্বাচন হোক। তৃতীয় বিকল্পই বেছে নিতে চেয়েছিলেন ইমরান। তাই আদতে পাক সেনার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
সেই সঙ্গে বাবর ইফতিকার আরও জানান, পাক সেনাপ্রধান মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে যে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তা সঠিক নয়। তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছরের ২৯ নভেম্বর শেষ হচ্ছে পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার মেয়াদ। আর তিনি কোনওভাবে মেয়াদ বাড়াতেও চান না।