এখনও অনলাইনে শপিং করছেন? অর্ডার করা প্যাকেট বয়ে আনতে পারে করোনা ভাইরাস
লকডাউনে চলে গিয়েছে গোটা দেশ। রবিবারের জনতা কার্ফুতেও বন্ধ ছিল দেশের সিংহভাগ দোকানপাট। এই পরিস্থিতিতে লকডাউনের আগে জরুরি জিনিস মজুত করে রাখতে হিমশিম খেয়েছেন অনেকেই। সোমবার তাই দোকান খুলতেই দেখা গিয়েছে দোকানে দোকানে ভিড়। তবে অনেকেই সেই ভিড় এড়াতে অনলাইনে অর্ডার দিয়েছেন। তবে সেটাই কিন্তু হতে পারে আপনা কাল।
করোনা ভাইরাসের উপর গবেষণা
সম্প্রতি এক গবেষণা চালানো হয় মহামারী আকার ধারন করা করোনা ভাইরাসের উপর। সেই গবেষণাতেই উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, স্টিল বা প্লাস্টিকে দুই থেকে তিন দিন প্রযন্ত বেঁচে থাকতে পারে এই কোভিড-১৯। এছাড়া কার্ডবোর্ডেও প্রায় ২৪ ঘণ্টা আয়ু এর। এদিকে আপনার বাড়িতে যা পার্সেল আসে তার সবই কার্ডবোর্ড বা প্লাস্টিকে মোরানো অবস্থাতেই আসে। এর জেরে কিন্তু আপনার অর্ডার দেওয়া জিনিসের মাধ্যমেই আপনার বাড়িতে করোনা ভাইরাস চলে আসতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কী করণীয়?
করোনা থেকে বাঁচার উপায় কী?
আপনার যদি মনে হয় যে কোনও জিনিসের উপর এই ভাইরাস থাকতে পারে তবে সেটিকে ভালো ভাবে ধুয়ে নিন। পরে নিজের হাতও ভালো করে ধুয়ে নিন। ধোয়ার জন্য আপিন সাবান বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারেন। আরও ভালো হয় যদি কোনও পার্সেল এলে আপনি সেটি ধরতে গ্লাভস ব্যবহার করেন। তারপর সেই পার্সেলটিকে পরিষ্কার করে নিজের গ্লাভসটি ফেলে দিন। করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে হাত স্টেরিলাইজ করা উচিত।
শরীরে অ্যালকহল স্প্রে করবেন না
তবে শরীরে অ্যালকহল বা ক্লোরিন স্প্রে করবেন না। শরীরে যেই ভাইরাস ঢুকে গিয়েছে তা কোনও ভাবেই ক্লোরিন বা অ্যালকহল ব্যবহার করে মারা যায় না। তবে অ্যালকহল বা ক্লোরিন স্প্রে করে কোনও বস্তুকে স্বচ্ছ করে তুলতে পারেন। তাতে ভাইরাস ছড়ানো আটকানো যেতে পারে।
বন্ধ অ্যামাজনের পরিষেবা
অ্যামাজনের তরফে জানানো হয়েছে সীমিত পরিসরে তারা গৃহস্থালী, ওষুধ এবং প্রচুর চাহিদা সম্পন্ন পণ্যগুলোর অর্ডার নেবে এবং ফুলফিলমেন্ট সেন্টার থেকে পণ্যগুলো গ্রাহকের ঠিকানায় পাঠানো হবে। তবে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও ওষুধ ছাড়া সকল ধরনের পণ্য বিক্রয় সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন। এই স্থগিতাদেশ আগামী পাঁচ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।