মোবাইল ফোন আর আমিষ খাবারের জেরেই ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে : বিহারের মন্ত্রী
বিহারের শিল্প,সংস্কৃতি ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী বিনয় বিহারির কথায়, অনেক ছাত্রছাত্রীরাই মোবাইল ফোনের অপব্যবহার করে। ফোনে নীলছবি ও অপসংস্কৃতিমূলক গান, ভিডিও দেখে। ফলে তাঁদের মস্তিস্ক দূষিত হচ্ছে। তিনি নাকি একটি স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে ২ জন ছাত্রকে মোবাইল ফোনে নীলছবি দেখার সময় হাতে নাতে ধরেছিলেন। অন্যদিকে, খাবার দাবার প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, প্রচুর পরিমাণে আমিষ খাবার খাওয়ার ফলে তাঁদের মেজাজ তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায়। এই কারণেই সাধুসন্তরা নিরামিষ খাবার খেতেন, দেহ ও মনকে সুস্থ রাখার জন্য। ব্যাখ্যা বিনয় বিহারির।
শুধু এই নয় বিনয় বিহারির কথায়, কোনও স্কুলে গেলেই এখন দেখা যায়, উঁচু ক্লাসের ছেলেমেয়েদের হাতে দামি দামি মোবাইল ফোন। তারা নোংরা এসএমএস আদানপ্রদান করে। তাছাড়া নষ্টের মূল এই আমিষ খাবারদাবারও। আমিষ খাবারের ফলে চট করে মেজাজ গরম হয়ে যায়। মেজাজে নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় না। এখানে উল্লেখ্য বিনয়বাবু নিজেই ভোজপুরি চলচ্চিত্র জগতের অভিনেতা ও সঙ্গীতশিল্পী।
বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েদের হাতে মোবাইল ফোন রাখা বন্ধ করলেই ধর্ষণের ঘটনা বন্ধ হয়ে যাবে পুরোপুরি তা নয়, তবে মন্ত্রীর দাবি, স্কুলে মোবাইল নিষিদ্ধ করলেন ধর্ষণের ক্রমবর্ধমান ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। আর তাই শিক্ষা দফতরকে দেওয়া মন্ত্রীর পরামর্শ হল, আচমকা পরিদর্শনের মাধ্যমে দেখে নিন কোনও ছাত্রছাত্রী সঙ্গে ফোন আনছে কি না।
ফোনের খালি একটাই উপকারিতা মন্ত্রীর মতে। শুধুমাত্র দ্রুত যোগাযোগের ক্ষেত্রেই ফোন কাজে আসে। আর নয়তো ফোনের একাধিক অপকারিতা রয়েছে। ফোন ব্যবহার করাটা অনেকটা আত্মরক্ষার অজুহাতে কোনও ব্যাক্তিকে রিভরলভার রাখার ছাড়পত্র দেওয়ার মতো। কিন্তু অপরাধমূলক কাজেও ব্যবহার করা হয়।
স্কুলের ছেলেমেদের হাতে ফোন থাকা ভাল নয়, কিন্তু কী বিধায়কদের ফোন নিয়ে ঘোরাকে সমর্থন করেন মন্ত্রী? উত্তরে তাঁর জবাব. না। আমি কখনও বিধানসভার মধ্যে ফোন ব্যবহার করি না। তাহলে মন্ত্রীমশায়ের কাছে প্রশ্ন ছাত্রছাত্রীদের স্কুলের বাইরে ফোন ব্যবহারে কোনও বিধিনিষেধ নেই তো?