দেশের সবচেয়ে দূষিত শহর রাজধানী দিল্লি, বলছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট
দেশের সবচেয়ে দূষিত শহর রাজধানী দিল্লি, বলছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট
২০২২ সালে দেশের সবচেয়ে দূষিত শহরে পরিণত হয়েছে দিল্লি। এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। দিল্লির দূষণের মাত্রা পৌঁছে গিয়েছে ২.৫-এ। সেটা দূষণের মাত্রার তিনগুণ বেশি। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট বলছে গত ৪ বছরে দিল্লির দূষণের মাত্রা ৭ শতাংশ কমেছে। ২০১৯ সালে দিল্লিতে দূষণের মাত্রা প্রতি কিউবিক মিটারে ছিল ১০৮ মাইক্রোগ্রাম। ২০২২ সালে সেটা কমে হয়েছে প্রতি কিউবিক মিটারে ৯৯.৭৭ মাইক্রোগ্রাম।
কিন্তু সেই কমা সমুদ্র থেকে এক বিন্দু জল তুলে নেওয়ার মত। যে পরিমাণ দূষণ রয়েছে দিল্লির আকাশে। সেটা কিছুই কমেনি। যা কমেছে তা স্পষ্ট হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই কেজরিওয়াল সরকার দিল্লিতে বায়ুদূষণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ফেলেছে । ২০২৪ সালের মধ্যে দিল্লিতে বায়ু দূষণের মাত্রা ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
দূষণের যে মাত্রা ধরে মাপকাঠি করা হয় তাতে শীর্ষে রয়েছে রাজধানী দিল্লি-এনসিআর। রাজধানী হওয়ার কারণে এখানে জনসংখ্যা বেশি। গাড়ি চলাচল বেশি। দিল্লি একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র। এখান থেকে গোটা দেশে একাদিক জায়গায় বাণিজ্যিক কাজকর্ম হয়। জিনিস পত্রের আদানপ্রদানের কেন্দ্রও এই দিল্লিই। সেকারণে ভারী গাড়ির চলাচল বেশি দিল্লিতে। বায়ূ দূষণ নিয়ন্ত্রণে কেজরিওয়াল সরকার একাধিক পদক্ষেপ করেছে। জোড়-বিজোড় সংখ্যার গাড়ি চালানোর নীতি নিয়েছে।
ডিজেল চালিত গাড়ির প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। আবার ভারী যান চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বিশেষ করে শীতকালে দিল্লির বায়ুদূষণ চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। তার জন্য দিল্লিতে সবরকমের বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও দিল্লির এই দূষণের অন্যতম কারণ পাঞ্জাব-হরিয়ানা-উত্তর প্রদেশের শুকনো ফসল পোড়ানো। সেই শুকনো ফসল পোড়ানোর ধোঁয়া এসে জমা হয় দিল্লির আকাশে। তাতেই বাতাসে কার্বনের পরিমাণ বেড়ে যায়।
যদিও কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তালিকায় দিল্লি ছাড়াও একাধিক শহরের নাম রয়েছে। দিল্লির পরেই রয়েছে হরিয়ানার ফরিদাবাদ। সেখানে দূষণের মাত্রা প্রতি কিউবিক মিটারে ৯৫.৬৪ মাইক্রোগ্রাম। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ। সেখানে দূষণের মাত্রা প্রতি কিউবিক মিটারে ৯১.২৫ মাইক্রোগ্রাম। দিল্লির কাছেই রয়েছে এই গাজিয়াবাদ।
বাংলায় সদস্যপদ সংগ্রহ শুরু করল আপ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পরিকল্পনা সাফ