পাকিস্তান-বিরোধী স্লোগান কেন নয়! উত্তরপ্রদেশে প্রহৃত তিন কাশ্মীরি পড়ুয়া
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে আটজন পড়ুয়া গতকাল ওই কাশ্মীরি ছাত্রদের ঘিরে ধরে। প্রথমে তাদের 'ভারত মাতা কি জয়' স্লোগান দিতে বলে। তারা সেই স্লোগান দেওয়া পর এবার ওই ছাত্ররা বলে 'পাকিস্তান মুর্দাবাদ' বলতে হবে। কিন্তু তারা এবার বেঁকে বসে। প্রথমে হুমকি, তার পর দলবদ্ধভাবে তারা ওই তিনজনকে প্রচণ্ড মারধর করে। জখম ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানালেও তা ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, এটা নিছকই মারামারি। এর সঙ্গে কোনও প্রাদেশিক বা ধর্মীয় ব্যাপারকে যুক্ত করা ঠিক হবে না।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই প্রতিক্রিয়া জানান জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওপর আবদুল্লা। তিনি বলেন, কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে অস্বীকার করা মানে এই নয় যে, তারা নিজের দেশকে ভালোবাসে না। এর পরও অখিলেশ যাদবের সরকার কেন চুপচাপ বসে আছে, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি। বলেছেন, "যদি বিশ্ববিদ্যালয় অথবা রাজ্য সরকার কাশ্মীরি ছাত্রদের রক্ষা করতে না পারে, তা হলে আপনাদের অক্ষমতা বা অনিচ্ছা জানিয়ে দিন। আমি দিল্লি থেকে রেসিডেন্ট কমিশনারকে যেতে বলছি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সেটা ঠিক করা হবে সব কিছু খতিয়ে দেখে।"
উত্তরপ্রদেশে এমন ঘটনা প্রথম নয়। এর আগে ক্রিকেট ম্যাচে পাকিস্তানকে সমর্থন করায় দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু করা হয়েছিল কয়েকজন কাশ্মীরি ছাত্রের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত ওমর আবদুল্লা হস্তক্ষেপ করায় মামলা তুলে নিতে বাধ্য হয় উত্তরপ্রদেশ সরকার। তখন দেশ জুড়ে সমালোচনা হয়েছিল।