Joshimath: ৮০০ বাড়িতে ফাটল, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের আর্থিক সাহায্যে ঘোষণা উত্তরাখণ্ড সরকারের
Joshimath: ৮০০ বাড়িতে ফাটল, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের আর্থিক সাহায্যে ঘোষণা উত্তরাখণ্ড সরকারের
গতকাল রাত থেকে বিক্ষোভ চলছিল জোশী মঠে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির বাসিন্দারা আর্থিক সাহায্য দাবি করেছিলেন। তার জন্য কেদারনাথ যাওয়ার রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু কেদারের বিপর্যয়ের মত ক্ষতিপূরণ দিতে পারবে না রাজ্যসরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছিল ধামী সরকার। শেষে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পিছু দেড় লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
তলিয়ে যাচ্ছে জোশীমঠ
ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি উত্তরাখণ্ডের এই জনপদের। কম করে ৮০০টি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। সেই পাটল এতটাই চওড়া যে যেকোনও মুহূর্তে গুঁড়িয়ে যেতে পারে। পাহাড়ে খাদে তলিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জোশী মঠে। অসংখ্য মানুষ ঘরছাড়া। প্রথমে কেউ কেউ নিজেদের আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। আবার কেউ কেউ ঘর হাড়িয়ে খোলা আকাশের নীচেই রয়েছে। তার মধ্যে কনকনে ঠান্ডা। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিন যাপন করছেন জোশী মঠের বাসিন্দারা।
সাহায্যের দাবিতে বিক্ষোভ
গত পরশু থেকে শুরু হয়েছে জোশী মঠে বেআইনি নির্মাণ ভাঙা। স্থানীয় পুরসভা এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বুল়্ডোজারক নিয়ে এসে ভাঙাভাঙি শুরু করেছে। কিন্তু নিজেদের যত্নে তৈরি বাড়ি এভাবে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তা মানতে নারাজ সেখানকার বাসিন্দারা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন ঘর ভেঙে দেওয়া হলে কোথায় থাকবেন তাঁরা। সরকার তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিন। গতকাল রাতে এই নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল জোশী মঠে। সেখানে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বাসিন্দারা।
অবশেেষ ক্ষতিপূরণ ঘোষণা
প্রথম উত্তরাখণ্ড সরকার কিছুতেই মানতে চায়নি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা। দাবি করা হয়েছিল বেআইনিভাবে তাঁরা বাড়ি তৈরি করেছেন তার জন্য সরকার কেন ক্ষতিপূরণ দেবে। এই নিয়ে তুমুল বিক্ষোভে শেষে আর্থিক সাহায্য দিতে রাজি হয় ধামি সরকার। যাঁদের বাড়ি একেবারে ভেঙে গিয়েছে তাঁদের পরিবার পিছু দেড় লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি। তিনি জানিয়েছেন কেদারনাথের বিপর্যয়ের মত ক্ষতিপূরণ রাজ্য সরকার দিতে পারবে না। বিক্ষোভকারীরা সেই পরিমান ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলেন।
ধসে পড়ছে জোশীমঠ
গত ২ বছর ধরে একটু একটু করে ধসে পড়ছিল জোশী মঠ। সেই রিপোর্ট তৈরিও করেছিল উত্তারখণ্ড সরকার। তা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জোশীমঠে এই মুহূর্তে ২০,০০০ মানুষ বাস করেন। তার মধ্যে ৭২৩টি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। ১৩১টি পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের আর্থিক সাহায্য দেবে রাজ্য সরকার। আপাতত তাঁদের ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জোশী মঠের ২টি হোটেল ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের ধাক্কা নন্দকুমার মডেলে, বাম-বিজেপিকে হারিয়ে জয়ী তৃণমূল