ইসরোর মুকুটে নতুন পালক, করোনা ধাক্কা সামলে ফের মহাকাশ জয় ভারতীয় উপগ্রহের
নতুন পালক ইসরোর মুকুটে। অন্ধ্রপ্রদেশের সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ হল পিএসএলভি-সি ৪৯। উল্লেখ্য করোনা আবহে লকডাউন জারির পর এই প্রথম কোনও রকেট লঞ্চ করল ইসরো। এই পিএসএলভি-সি ৪৯-এ ছিল ভারতের পৃথিবী পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ (ইওএস-০১)। এদিন দুপুর ৩টে ১২ মিনিট নাদাগ এই সফল উৎক্ষেপণটি হয়।
শ্রীহরিকোটা থেকে এটি ৭৬তম মহাকাশযান উৎক্ষেপণ ছিল
ইসরো সূত্রে জানানো হয়েছে যে শ্রীহরিকোটা থেকে এটি ৭৬তম মহাকাশযান উৎক্ষেপণ ছিল। পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকলের 'এক্স এল' কনফিগারেশনের এটি ২৩তম উৎক্ষেপণ ছিল। এছাড়া সতীশ ধবন স্পেস সেন্টার থেকে পিএসএলভি-সি৪৯-কে নিয়ে মোট ৫১টি পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে বলে জানায় ইসরো।
পিএসএলভি-সি ৪৯-এ ছিল ৯টি বিদেশি উপগ্রহ
এদিকে অল ওয়েদার আর্থ ইমেজিং স্যাটেলাইট (ইওএস-০১) ছাড়াও পিএসএলভি-সি ৪৯-এ ছিল ৯টি বিদেশি উপগ্রহ। অনেক দূর থেকে এটি ছবি তুলতে পারবে। এই মহাকাশযানটি জলবায়ু বদলের আভাস দেবে। আবহাওয়ার গতি প্রকৃতি ধরার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে এটি। এদিকে ইসরো সূত্রে খবর, ২০২৭ সালের মধ্যে আরও সাত হাজার স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানো হবে। সেই প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
মিশন সম্পর্কে কী বললেন ইসরো প্রধান
এই উৎক্ষেপণের পর ইসরো প্রধান কে সিবান বলেন, 'এই মিশনটি ইসরোর জন্য একদম নতুন এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর মাধ্যমে মহাকাশ জয় সম্ভব নয়। প্রতিটি ইঞ্জিনিয়রকেই ল্যাবেরোটরিতে উপস্থিত থাকতে হয়। এরকম এটি মিশনকে সফল করতে হলে প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি মানুষকে এক সঙ্গে কাজ করতে হয়।'
গতবছর পিএসএলভি-সি ৪৭ উৎক্ষেপণ করেছিল ইসরো
প্রসঙ্গত, এর আগে এই একই সিরিজের পিএসএলভি-সি ৪৭ উৎক্ষেপণ করেছিল ইসরো। গত বছরের নভেম্বরে সেই লঞ্চ হয়েছিল। সেবার কার্টোস্যাট-৩ পাঠানো হয়েছিল ইসরোর তরফে। বড় নগরায়ন প্রকল্প, গ্রামীণ সম্পদ ও পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে সাহায্য করছে এই কৃত্রিম উপগ্রহটি৷ এছাড়াও সমুদ্রের গতিপ্রকৃতির উপর নজর রাখতে পারে এই কৃত্রিম উপগ্রহটি।
রাষ্ট্রসংঘের গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে নির্বাচিত পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দেওয়া বিদিশা মৈত্র