১৩ লক্ষ করোনা আক্রান্তের সম্ভাবনা ভারতে, দাবি বিজ্ঞানীদের
১৩ লক্ষ করোনা আক্রান্তের সম্ভাবনা ভারতে, দাবি বিজ্ঞানীদের
মহামারির প্রথম পর্যায়ে ভারত অন্যান্য দেশের তুলনায় খুব ভালোভাবেই করোনা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে সফল হলেও, একদল বিজ্ঞানী সতর্ক করে জানিয়েছেন যে এই দেশে মে মাসের মাঝে ১৩ লক্ষ করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও আগে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল
কোভ-ভারত-১৯ গবেষকদের মতে, ভারতে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করার হার অনেক কম। ১৮ মার্চ পর্যন্ত মাত্র ১১,৫০০ পরীক্ষা হয়েছে। কোনও প্রতিষেধক বা ওষুধও নেই কোভিড-১৯-এর, করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় পর্যায়ে ভারত প্রবেশ করলে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর অত্যাধিক চাপ পড়বে। আমেরিকা বা ইতালিতে কোভিড-১৯ ধীরে ধীরে প্রবেশ করেছিল এবং আচমকাই তা বড় আকার নিয়ে নেয়।
ভারত আমেরিকার মতোই দেরি করেছে
গবেষকদের দল বলেন, ‘দেশে কোভিড-১৯ পরীক্ষার হারের ওপর ও দেশে এই মারণ রোগের পরীক্ষার প্রথমদিকের তথ্য সংগ্রহ করে এই হিসাব তৈরি করেছি, যা দেশের জন্য ভালো।' গবেষকরা জানিয়েছেন, ১৯ মার্চ পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯ বৃদ্ধির হার প্রায় ১৩ দিনের ব্যবধানে মার্কিন ধরন অনুসরণ করে বলে মনে হচ্ছে, যেমনটা এই মহামারির প্রাথমিক পর্যায়ে আমেরিকার সংখ্যা ১১ দিনেই ইতালির সঙ্গে সমান ছিল। গবেষকদের মতে, কোভিড-১৯ সংক্রমণের তীব্রতা ও প্রাণহানির আশঙ্কা দুর্বল জনগোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে, বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তি ও চিকিৎসা চলছে এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ‘ভারতে সবচেয়ে প্রসারিত স্বাস্থ্যব্যবস্থা রয়েছে, যেখানে সাধারণ রোগীর ভিড়ে,র মাঝে কোভিড-১৯ রোগীকে আলাদা করে যত্ন নেওয়া কঠিন।'
ভারতে কোভিড–১৯–এর ঝুঁকি মারাত্মক
ভারতে প্রতি এক হাজার লোকের হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা মাত্র ০.৭, যা তুলনা করলে দেখা যাবে ফ্রান্সে ৬.৫, দক্ষিণ কোরিয়াতে ১১.৫, চিনে ৪.২, ইতালিতে ৩.৪, ব্রিটেনে ২.৯, আমেরিকায় ২.৮ ও ইরানে ১.৫। গবেষকরা সতর্ক করে জানিয়েছেন যে, ‘স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সূচক দ্বারা চিহ্নিত ভঙ্গুর জনসংখ্যার বাইরে, আমাদের মনে রাখতে হবে যে স্বাস্থ্যসেবা এবং সামনের সারির কর্মীরা ভারতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।'
দেশজুড়ে লকডাউন, বাংলায় পুলিশের টি২০ ব্যাটিংয়ে অতিষ্ট গরীব মানু্ষ