দেশজুড়ে লকডাউন, বাংলায় পুলিশের টি২০ ব্যাটিংয়ে অতিষ্ট গরীব মানু্ষ
দেশজুড়ে লকডাউন, বাংলায় পুলিশের টি২০ ব্যাটিংয়ে অতিষ্ট গরীব মানু্ষ
ক্রমেই দেশে বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত এই দেশে ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বাংলাও এই মহামারি রোগে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়ার উপায় হিসাবে দেশজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে মঙ্গলবারই। যদিও জরুরি পরিষেবায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই লকডাউনের সময় প্রয়োজনীয় জিনিস মিলবে কোথা থেকে? কারণ দোকানে বা অনলাইনে জিনিস নিয়ে আসতে গেলে পুলিশি হেনস্থার সম্মুখীন হতে হচ্ছে অনেককে।
মার খাচ্ছে গরীব মানুষ
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে লকডাউন ঘোষণার পরই জানানো হয়েছিল যে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত রয়েছেন তাঁদের বিশেষ ছাড়পত্র দেওয়া হবে। যাতে পুলিশ তাঁদের সঙ্গে কোনও খারাপ আচরণ বা মারধর না করে। কিন্তু এ রাজ্যের চিত্রটা সম্পূর্ণ আলাদা দেখা গেল। অনলাইনে খাবার, সবজি, ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসস নিয়ে আসা ডেলিভারি বয়দের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করছে রাজ্যের পুলিশ। রীতিমতো টি২০ ব্যাটিং খেলতে নেমেছে তারা। বাইরে কাউকে অযথা ঘোরাঘুরি করতে দেখলেই বা বাইক নিয়ে কোনও ডেলিভারি বয়কে দেখলেই প্রথমে তাদের আটকানো হচ্ছে ও পরে লাঠি নিয়ে মারতে উদ্যত হচ্ছে পুলিশ। যার ফলে গরীব ডেলিভারি বয়রা ভয়ে ডেলিভারি নিয়ে যেতে চাইছেন না।
পুলিশের কাছে স্পষ্ট কোনও নির্দেশ নেই
রাজ্য বা কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের কোনও বিশেষ ছাড়পত্র এখনও দেওয়া হয়নি। যেটা দেখিয়ে তাঁরা পুলিশি হেনস্থা থেকে বাঁচতে পারবেন। অপরদিকে পুলিশের কাছেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও স্পষ্ট নির্দেশ না আসায় তারাও বিভ্রান্ত। যার ফলে রাস্তায় যে কোনও কাউকে দেখলেই তারা মারছে। মালদা, বীরভূম, চণ্ডীতলা, অণ্ডাল সর্বত্রই একই চিত্র দেখা গিয়েছে। পুলিশি জুলুমের জন্যই সম্প্রতি ফ্লিপকার্ট এই সময় তাদের পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ তাদের সহযোগী ডেলিভারি বয়রা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের হেনস্থার কথা অভিযোগ করেছে।
দেশে লকডাউন
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন যে এদিন মধ্যরাত থেকেই দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হবে। ২১ দিএনর জন্য এই লকডাউন। জরুরি পরিষেবা এই লকডাউন থেকে বাদ দিলেও পুলিশের অত্যাচারে সেই পরিষেবার কতটুকু রাজ্যবাসীর কাছে এসে পৌঁছাবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে।
'লকডাউন প্রয়োজনীয় কিন্তু ২১ একটু বেশিই ..', মোদীকে চেনা সমালোচনার সুরে বিঁধলেন প্রশান্ত