মাঝ আকাশে হঠাৎ বেপাত্তা বায়ুসেনার বিমান! ১৩ যাত্রীর খোঁজে শুরু তল্লাশি অভিযান
সোমবার দুপুরে অসমের জোড়হাটের এয়ারবেস থেকে ওড়ার পর থেকেই নিখোঁজ ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান।
সোমবার দুপুরে অসমের জোড়হাটের এয়ারবেস থেকে ওড়ার পর থেকেই নিখোঁজ ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান। দুপুর ১২.২৫ নাগাদ জোড়হাট থেকে উড়েছিল এএন-৩২ বিমানটি। ওই বিমানে সব মিলিয়ে ছিলেন ১৩ জন। যাঁদের মধ্যে আটজন ছিলেন ক্রু মেম্বার এবং পাঁচজন যাত্রী। বিমানটি নামার কথা ছিল অরুণাচল প্রদেশের মেচুকা বিমানঘাঁটিতে। দেখা গিয়েছে বিমানটির সঙ্গে শেষ সংযোগ হয়েছিল বেলা ১ টা নাগাদ।
মেচুকা বিমানঘাঁটিতে বিমান না পৌঁছনোয় তল্লাশি অভিযানে নেমে পড়ে ভারতীয় বিমান বাহিনী। নিখোঁজ বিমানটিকে খুঁজে বের করতে সবরকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিষ্কারভাবে বলতে গেলে, সুখোই ৩০ যুদ্ধবিমান এবং সি-১৩০ বিমানকে নামানো হয়েছে এএন-৩২ বিমানকে খুঁজে বের করতে।
২০০৯ সালের জুনের ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি এএন-৩২ বিমান অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম সিয়াং-এর রাঁচি পাহাড়ের কাছে হেয়োগ্রামে ভেঙে পড়েছিল। বিমানে থাকা প্রতিরক্ষা দফতরের ১৩ কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। ভারত-চিন সীমান্ত থেকে প্রায় ৬০ কিমি দূরে, মেচুকা বিমানঘাঁটি থেকে প্রায় ৩০ কিমি দূরে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল। ২০০৯ সালের ৯ জুন দুপুর দুটোয় বিমানটি মেচুকা থেকে রওনা দেয়। যাওয়ার কথা ছিল আসমের মোহনবাড়ি বিমানঘাঁটিতে। কিন্তু ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটির সঙ্গে র্যাডারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ইউক্রেনের তৈরি এএন-৩২ বিমান ভারতীয় বিমান বাহিনীতে যোগ দিয়েছিল ১৯৮৪ সালে। এই মুহূর্তে বিমান বাহিনীর হাতে রয়েছে ১০০ টি এএন-৩২ বিমান। যার বেশিরভাগই ব্যবহার করা হয় জওয়ান দুর্গম এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য। এছাড়াও রসদেরও যোগান দেয় পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে থাকা নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে।
২০১৬ সালে একটি এএন-৩২ বিমান চেন্নাই থেকে পোর্ট ব্লেয়ারের পথে রওনা হয়েছিল। কিন্তু তা মাঝপথেই নিখোঁজ হয়ে যায়। সেই বিমানটিকে আর পাওয়া যায়নি।